সংক্ষিপ্ত

শিগগাঁও কেন্দ্র থেকে টানা চার বার বিধায়ক হলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। নির্বাচনে বিজেপির বিপর্যদের দায় নিজের কাঁধে নিলেন তিনি।

 

নিজে জয়ী হলেও কর্ণাটকের বিজেপির বিপর্যয়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। নিজের কেন্দ্র শিকগাঁও থেকে এই নিয়ে টানা চতুর্থবার জয় পেলেন বাসবরাজ বোমাই। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী ইয়াসির আহমেদ খান পাঠানকে ৩৫ হাজার ৩৪১ ভোটে হারিয়ে দেন। বাসববার বোমাই পেয়েছেন, ৯৯ হাজার ৭৩টি ভোট। ৬৩ বছরের বোমাই কর্ণাটকের কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা পরিবারের প্রবীণ সদস্য আরএস বোমাইয়ের ছেলে। ২০০৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বিজেপি প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি কর্ণাটকের রাজপাট সামলাচ্ছেন।

শিগগাঁও একটা সময় কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বোমাই জনতা দলের হয়ে রাজনৈতিক জীবনে শুরু করেলও ২০০৮ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও জনতা দলের হয়ে ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে কর্ণাটক বিধানসভায় গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আগে তিনি কর্ণাটকের বিরোধী দলের উপনেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর সংসদীয় সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এদিন কর্ণাটকে বিজেপির যাবতীয় বিপর্যয়ের দায়িত্ব বাসবরাজ বোমাই নিজের কাঁধে তুলে নেবেন তিনি। নির্বাচনে সাফল্যের জন্য বোমাই কংগ্রেসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেন কংগ্রেস অনেক সংগঠিত দল হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করেছেন। নির্বাচনী কৌশল তাদের জয়ের অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলেন, জনগণের রায় তিনি মাথাপেতে নিচ্ছেন। বিজেপির পরাজয়ের দায় অন্য কারও নয়, তাঁর একার বলেও জানিয়েদেন বোমাই। তিনি আরও বলেন, পরাজয়ের কারণ সম্পর্ণ বিশ্লেষণ করা হবে। বিভিন্ন কারণেই বিজেপি কর্ণাটকে অসফল বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেছেন প্রত্যেকটি নির্বাচনী কেন্দ্র ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে।

কর্ণাটকে মোদী ফ্যাক্টর কাজ করেছে কিনা, সাংবাদিকদদের এই প্রশ্নের উত্তরে বাসবরাজ বোমাই বলেন, কর্ণাটকে বিজেপির বিপর্যয়ের বেশি কতগুলি কারণ রয়েছ, যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা ববে। তারপরই এই বিষয়ে কথা বলা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন ভোটের ফল ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে। আর সেই কারণেই এই বিষয় নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়। তবে কংগ্রেসে সংগঠিত হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছে তাই এই সাফল্য পেয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাসবরাজ বোমাই এদিন তাঁর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শিগগাঁওর বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি তাঁর এলাকায় উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতে রাজি রয়েছেন। কর্ণাটকে কংগ্রেস ১৩৭টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৪টি আসনে। জেডিএস এগিয়ে রয়েছে ২০টি আসনে।