কারও বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে তাকে জেলে পাঠানো হলে এবং পরে তিনি মুক্তি পেলে, মিথ্যে মামলা দায়েরকারী মন্ত্রীর কত বছরের জেল হওয়া উচিত? তীব্র সমালোচনা করেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

‘বিজেপি সরকারের চেয়ে ১৬০ দিন জেল থেকে শাসন করা ভালো’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘১৩০তম সংশোধনী বিল আইন থাকলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করতেন’। এর জবাবে আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন বিলে ৫ বছরের বেশি সাজার অপরাধে ৩০ দিনের মধ্যে জামিন না পেলে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকেও পদচ্যুত করার বিধান রয়েছে। আম আদমি পার্টি এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে। এ বিষয়ে গঠিত হতে যাওয়া যৌথ কমিটিকে বয়কট করছে।

গুরুতর অপরাধীদের নিজের দলে ভিড়িয়ে, তাদের সব মামলা মিটিয়ে, তাদের মন্ত্রী বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী বানান অমিত শাহ। তাহলে সেই মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কি পদত্যাগ করা উচিত নয়? তাদের কত বছরের জেল হওয়া উচিত?

কারও বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে তাকে জেলে পাঠানো হলে এবং পরে তিনি মুক্তি পেলে, মিথ্যে মামলা দায়েরকারী মন্ত্রীর কত বছরের জেল হওয়া উচিত?" দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে কেজরিওয়াল ১৬০ দিন তিহার জেলে ছিলেন। পদত্যাগ না করে জেল থেকেই সরকার চালিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্পর্কে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘সংবিধান রচনার সময় একজন মুখ্যমন্ত্রী জেলে যাবেন, জেলে থেকেও মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, এমন অপমানজনক পরিস্থিতির কথা সংবিধান প্রণেতারা ভাবেননি। তিনি নৈতিকতার ভিত্তিতে পদত্যাগ করবেন বলে আমরা মনে করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান আইনে এমন কোনো বিধান নেই। আমার দল বিশ্বাস করে, দেশের কোনো মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী জেলে থেকে সরকার চালাতে পারবেন না, দেশের প্রধানমন্ত্রীও তাই বিশ্বাস করেন’।

তবে কেজরিওয়াল বলছেন, দিল্লির বর্তমান বিজেপি সরকারের চেয়ে ১৬০ দিন জেল থেকে শাসন করা ভালো। ‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে মিথ্যে মামলায় জেলে পাঠালেও ১৬০ দিন জেল থেকে শাসন চালিয়েছি’। গত সাত মাসে দিল্লির বিজেপি সরকার শহরটিকে খুব খারাপ করে ফেলেছে। মানুষ জেল থেকে সরকার চালানোর দিনগুলো মনে রাখে’।

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা কেজরিওয়ালের এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। ‘কোভিডের সময় আমরা ঘর থেকে কাজ করেছি। এখন, ভারতে প্রথমবার, তারা জেল থেকে কাজ করতে চান। একজন মুখ্যমন্ত্রী কি জেল থেকে বৈঠক করতে পারেন? জনসাধারণের শুনানি কোথায় হবে - জেলের ঘরে? জরুরি অবস্থা হলে কীভাবে মোকাবেলা করব? এটা নৈতিক ও বাস্তব দিক থেকেই ব্যর্থ’।