Kerala Police: চার দশক পর নতুন করে এক খুনের মামলা ফের চালু করল কেরল পুলিশ। এত বছর ধরে এই খুনের মামলার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এবার খুনি নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় পুলিশের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেল।
Kozhikode Murder Case: ১৯৮৬ সালে এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণকে খুন করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় চার দশক। এত বছর ধরে এই মামলার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। মামলার অগ্রসর হয়নি। তদন্তও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিশোর বয়সে সেই খুনের কথা এখনও মনে রেখেছেন মহম্মদ আলি নামে এই ব্যক্তি। এত বছর ধরে তাঁর অনুশোচনা ছিল। সেই অনুশোচনা থেকেই এবার পুলিশের কাছে গিয়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করলেন তিনি। এই স্বীকারোক্তির পর নতুন করে খুনের মামলা চালু করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ ধরে নিয়েছিল, ওই তরুণের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল। তবে এবার এই মামলা নতুন মোড় নিল। মহম্মদ আলি কী সাজা পাবেন, সে বিষয়ে সবারই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১৯৮৬ সালে ঠিক কী হয়েছিল?
কেরলের (Kerala) মলপ্পুরম জেলার (Malappuram district) ভেঙ্গারা (Vengara) অঞ্চলে থানায় গিয়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন মহম্মদ আলি। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় কোঝিকোড় জেলায় (Kozhikode district) তিরুবাম্বাডি থানা (Thiruvambady police station) এলাকায় কুডারঞ্জি গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতেন। সেখানে একদিন এক তরুণ তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। আত্মরক্ষার লক্ষ্যে সেই ব্যক্তিকে লাথি মারেন মহম্মদ আলি। ওই তরুণ এক জলাশয়ে পড়ে যান। সেখান থেকে পালিয়ে যান মহম্মদ আলি। ঘটনাস্থলে কেউ ছিলেন না। দু'দিন পর ওই তরুণের প্রাণহীন দেহ উদ্ধার হয়। কাউকে এই ঘটনার কথা জানাননি মহম্মদ আলি। চার দশক পর তিনি অনিচ্ছাকৃত খুনের কথা স্বীকার করলেন।
মহম্মদ আলির পরিবারেও বিপর্যয়
মহম্মদ আলি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় তাঁর বড় ছেলের মৃত্যু হয়। এরপর দুর্ঘটনায় তাঁর ছোট ছেলে গুরুতর জখম হয়। দুই ছেলের দুর্ঘটনার পর পুরনো ঘটনার কথা স্মরণ করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন মহম্মদ আলি। দুই ছেলের দুর্ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী করেন তিনি। এই কারণেই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।