সংক্ষিপ্ত

১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ দেখান কেরলের সাংসদরা। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে বিলম্বের অভিযোগ তুলেছেন।

 

আবারও একই সঙ্গে বাম-কংগ্রেস। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ দেখান। কেরলের বিরোধী সংসদ সদস্যদের সঙ্গেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গলা ফাটান কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। মঙ্গলবার সংসদের বাইরে MNREGA দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীও অল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভে যোগ দেন।

কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল বলেন, "এমজিএনআরইজিএ আইন অনুযায়ী, যদি কর্মীদের মজুরি ১৫ দিনের বেশি দেরি হয়, তাহলে তাদের সুদ দেওয়ার বিধান থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, কেরলের সব এলাকায় MNREGA কর্মীরা তাদের মজুরি পান না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প শেষ করার চেষ্টা করছে।" ভেনুগোপাল আরও বলেন যে এমজিএনআরইজিএ আইন অনুযায়ী, কর্মীদের মজুরি ১৫ দিনের বেশি দেরি হলে, তাদের বিলম্বিত পরিশোধের উপর সুদ পাওয়া উচিত। তিনি উল্লেখ করেন যে কেরলের অনেক ১০০ দিনের কাজের কর্মী তাদের মজুরি পাননি, এবং বিষয়টি উত্থাপন করার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনও স্পষ্ট সাড়া পাওয়া যায়নি। ভেনুগোপাল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন যে তারা MNREGA প্রকল্প বন্ধ করার চেষ্টা করছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প ইস্যুতে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মনরেগা প্রকল্পের টাকা সময় মত দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্য সরকারকেই দিতে হয়। যদিও তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা হিসেবে দিল্লির বিজেপি সরকার দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শুধু এই রাজ্যই নয়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছে কেরলের মত রাজ্য। কাকতালীয় হলেও আগামী বছরই দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।