সংক্ষিপ্ত
আলোচনায় উঠে এসেছিল মহিলাদের হিজাব পরনের কথা। তখনই ওই ধর্মগুরু বলেন, যে সমস্ত মহিলারা হিজাব পরেন না, তাঁদের সবার চরিত্র সন্দেহজনক।
ইসলাম ধর্মীয় মহিলাদের (Muslim Women) হিজাব না পরার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কেরলের মুসলমান ধর্মগুরু (Muslim Cleric)। তাঁর বক্তব্য ছিল যে, যেসব মহিলারা হিজাব পরিধান করেন না, তাঁদের চরিত্র সম্পর্কে সন্দেহ আছে। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের দায়ে এবার তাঁকে দৌড়তে হল পুলিশ প্রশাসন পর্যন্ত । সম্প্রতি কেরল (Kerala) পুলিশের তরফ থেকে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত মুসলমান ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে।
-
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসে কেরলের একটি টিভি চ্যানেলে উপস্থিত হয়েছিলেন সুন্নি ধর্মীয় মুসলমান নেতা মুক্কাম উমর ফাইজি। সেই আলোচনায় উঠে আসে মহিলাদের হিজাব (মাথার স্কার্ফ) পরনের কথা। তখনই তিনি বলেন, যে সমস্ত মহিলারা হিজাব পরেন না, তাঁদের সবার চরিত্র সন্দেহজনক। তাঁর এই মন্ত্যবের পরেই গোটা দেশ জুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়। চারিদিক থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ।
-
কেরলের প্রগতিশীল মুসলিম নারী ফোরাম নিসা-র সভাপতি তথা সামাজিক কর্মী ভিপি সুহরা তড়িঘড়ি ওই মৌলবির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানুয়ারি মাস পড়তেই নেমে এল খাঁড়ার ঘা। নারী সমাজের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই বৃহস্পতিবার নতুন করে এফআইআর দায়ের করেছে কেরলের নাদাক্কাভু পুলিশ। সূত্রের খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ এ (কোনও শ্রেণীর ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করে ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ কাজ করা) এবং ২৯৮ ধারায় (যে কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার ইচ্ছাকৃত অভিপ্রায়) ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।