সংক্ষিপ্ত
- ফের শবরীমালা মন্দির থেকে ফেরানো হল এক বালিকাকে
- ১২ বছরের বালিকা পদুচেরি থেকে এসেছিল
- বয়সের প্রমাণ দেখে কেরালা পুলিশ তাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেয় না
- ওই বালিকাকে ছেড়েই মন্দিরে প্রবেশ করলেন তার পরিবারের সদস্যরা
ফের শবরীমালা মন্দিরের কাছ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল এক ১২ বছরের বালিকাকে। ওই বালিকা তার পরিবারের সঙ্গে শবরীমালায় আয়াপ্পা মন্দির দর্শনে এসেছিল। জানা গিয়েছে, পরীবার ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে পদুচেরি থেকে শবরীমালায় মন্দির দর্শনে এসেছিল ওই বালিকা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই বালিকা ও তার সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের থামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে পরিচয় পত্র দেখতে চায়। পরিবারের সকলের আধার কার্ড দেখার পর পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই বালিকা শবরীমালা মন্দিরে যেতে পারবে না।
পরিবারের সদস্যরা বার বার ওই বালিকাকে মন্দিরে যেতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীরা সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। পরিবারের সবাই আয়াপ্পা মন্দির দর্শনে গেলে, ততক্ষণ ওই বালিকা কী করবে, সেই নিয়ে সংশয়ে পরে যান পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। নিরাপত্তা রক্ষীদের তরফে জানানো হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না বালিকার বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ফিরে আসছেন, নিরাপত্তারক্ষীদের পাশের একটি ঘরে ওই বালিকা থাকবে। যার ফলে বাধ্য হয়েই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ওই বালিকাকে রেখে শবীরমালা মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
শনিবার শবরীমালা মন্দির জনগণের উদ্দেশে খুলে দেওয়া হলেও রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবারই ১০ মহিলাকে শবরীমালা বেস ক্যাম্প থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই ১০ জন মহিলার বয়স ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। মন্দিরে পুজো দিতে এসে ফিরে যাওয়ায় হতাশ ১০ মহিলা। তাঁরা পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করে, শবরীমালাতে এখন মেয়েরাও পুজো দিতে পারবেন। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় কর্ণপাত করেনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা আর নতুন করে কোনও সমস্যা চায় না।
গত বছরই সুপ্রিম কোর্ট শবরীমামলায় সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সক্রিয় হয়। সেই সময় এই রায় কার্যকর করতে কেরল সরকার সক্রিয় হলেও ধর্মীয় বিশ্বাসের দোহাই দিয়ে বেঁকে বসে একটি সম্প্রদায়। তবে শুক্রবারই কেরল সরকারের দেবস্বম মন্ত্রী কড়কমপল্লি সুরেন্দ্রন জানান, কোনও মহিলা শবরীমালা মন্দিরে পুজো দিতে চাইলে রাজ্য সরকার আর তাঁকে পুলিশি সহায়তা দেবেন না। যদি কেউ মনে করে, তাঁর পুলিশি নিরাপত্তা প্রয়োজন, আদালতে গিয়ে তার নির্দেশ নিয়ে আসতে হবে।