সংক্ষিপ্ত
‘শিখদের বিরোধিতা করে ব্রাহ্মণদের জুতো চেটে গদ্দারি করেছিল ভগত সিং’, এভাবেই প্রকাশ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীর বর্ণনা দিলেন খালিস্তানপন্থী নেতা তথা অমৃতপাল সিং-এর সমর্থক।
১৮ মার্চ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভারত ছেড়ে পালিয়েছেন খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং। তাঁর প্রায় দেড়শোরও বেশি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। আরও খালিস্তানি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারির কাজ অব্যাহত আছে। কিন্তু, ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ভারতীয় দূতাবাস লক্ষ্য করে চূড়ান্ত আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করছেন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ দলের সমর্থকরা। দলীয় কর্মীদের মধ্যে ছড়ানো হচ্ছে সন্ত্রাসী মনস্কতা এবং ভারতীয়দের প্রতি ঘৃণা। তেমনই এক ভিডিও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এক গেরুয়া পাগড়িধারী খালিস্তানি সমর্থককে মাইক হাতে নিয়ে উঁচু গলায় ভাষণ দিতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর চারপাশে খালিস্তান-এর হলুদ পতাকা নিয়ে বহু মানুষ জমায়েত হয়েছেন বলে বোঝা যাচ্ছে। সেই ভিডিওতে তিনি ভারতের তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা শহিদ ভগত সিং-এর বিরুদ্ধে যা বলছেন, তাতে উত্তেজিত হয়ে উঠবেন যে কোনও ভারতীয় মানুষ। ১৯৩১ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ভারতকে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারের শাসন থেকে মুক্ত করতে অত্যাচারী পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যা করার দায়ে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের লাহোরে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছিলেন তরতাজা পঞ্জাবি যুবক ভগত সিং, তাঁর কণ্ঠে উঠেছিল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান (বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক)। সেই তরুণ শহীদের বর্ণনা করতে গিয়ে 'পলাতক' ‘বান্ধবীবেষ্টিত’ স্বঘোষিত ‘শিখ ধর্মগুরু’ অমৃতপাল সিং-এর এই সমর্থক জোর গলায় যা বললেন, তা সমগ্র ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক করাঘাত এবং চূড়ান্ত অবমাননাকর।
খালিস্তানপন্থী তথা অমৃতপাল সিং-এর ওই সমর্থককে ভিডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘ভগত সিং ছিল একটা গদ্দার (বিশ্বাসঘাতক)। সেই গদ্দার যে শিখদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রাহ্মণদের জুতো চেটেছিল। সবাই ওনাকে বলে শহিদ ভগত সিং, কী ধরনের শহিদ সে,যে খালসার (খালিস্তানপন্থা) বিরোধিতা করে ভারতের জন্য জান দিয়েছিল?’ এরপর তিনি আঙুল তুলে জোর গলায় দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দুনিয়ার সব জায়গায় আমি খালসার রাজত্ব করাবো। পৃথিবীতে এমন একটা দিন আসবে, যেদিন গুরুনানকবাদ সারা দুনিয়া জুড়ে রাজত্ব করবে। সারা দুনিয়া জুড়ে।’