সংক্ষিপ্ত
জন্মের শংসাপত্র প্রয়োজন ( birth certificate) এক গুরুত্বপূর্ণ নথি। একটি সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই অনলাইনে আবেদন করুন। রেজিস্টার করতে, নথি আপলোড করতে এবং ঝামেলামুক্তভাবে আপনার জন্মের শংসাপত্র ( birth certificate) পেতে এই ধাপে ধাপে এই নির্দেশ অনুসরণ করুন।
যদি আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হন এবং এখনও আপনার কাছে জন্মের শংসাপত্র ( birth certificate) না থাকে, তাহলে আপনি এক্ষেত্রে একা নন। অনেকেরই অফিসিয়াল উদ্দেশ্যে জন্মের শংসাপত্রের প্রয়োজন হয় কিন্তু আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত নন। সুখবর হল, জন্মের শংসাপত্র ( birth certificate) পাওয়া একটি সহজ প্রক্রিয়া। এই প্রতিবেদনটি আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করবে।
জন্ম শংসাপত্র কেন অপরিহার্য: পরিচয় যাচাইয়ের জন্য জন্ম শংসাপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি।
এটি প্রায় সময়ই প্রয়োজন হয়: পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা স্কুলে ভর্তি সরকারি পরিষেবা আইনি নথি আপনি যদি এখনও আবেদন না করে থাকেন, তাহলে এখনই শুরু করার সময়।
আবেদন প্রক্রিয়ার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
জন্ম শংসাপত্রের আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ এবং এর জন্য নামমাত্র ২০ টাকা ফি প্রয়োজন। তবে, দেরিতে আবেদনের জন্য অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।
অনলাইনে আবেদন করার ধাপ:
ধাপ ১: অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন:
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে CRSORGI.gov.in এ যান।
ধাপ ২: সাইন আপ করুন:
"সাইন আপ" বিকল্পে ক্লিক করুন। আপনার ব্যবহারকারীর নাম, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি লিখুন।
আপনার রাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, ইত্যাদি) উপর ভিত্তি করে একটি পোর্টালে আপনাকে পুনঃনির্দেশিত করা হবে। উপযুক্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: রাজ্য পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করুন:
আবার "সাইন আপ" এ ক্লিক করুন। নাম, পদবি, লিঙ্গ এবং জন্ম তারিখের মতো বিশদ পূরণ করুন। এগিয়ে যেতে "পরবর্তী" ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: ঠিকানার বিশদ লিখুন:
আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানা দিন, যার মধ্যে রয়েছে:
রাজ্য জেলা উপ-জেলা গ্রাম/শহর পিনকোড ভবন এবং বাড়ির নম্বর রাস্তার নাম সম্পূর্ণ হয়ে গেলে "পরবর্তী" ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: আধার এবং জাতীয়তা বিষয়ক (Nationality Information) তথ্য প্রদান করুন:
আপনার আধার নম্বর লিখুন এবং জাতীয়তা নির্বাচন করুন। স্বীকৃতি বাক্সে টিক দিন এবং "পরবর্তী" ক্লিক করুন। যাচাই করার জন্য একটি OTP পেতে আপনার মোবাইল নম্বর লিখুন।
ধাপ ৬: ইমেল আইডি যাচাই করুন:
OTP প্রবেশ করার পরে, আপনার ইমেল আইডি দিন। লগইন পৃষ্ঠায় যেতে "এড়িয়ে যান এবং রেজিস্ট্রেশন করুন" ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: লগ ইন করুন:
আপনার রেডিস্টার মোবাইল নম্বর এবং ক্যাপচা লিখুন। আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে একটি OTP দিয়ে প্রবেশ করুন।
ধাপ ৮: জন্ম রিপোর্ট করুন:
উপরের ডানদিকে তিন-লাইন মেনুতে ক্লিক করুন। "জন্ম" নির্বাচন করুন এবং "জন্ম রিপোর্ট করুন" নির্বাচন করুন।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করা জন্য-
ধাপ ১: জন্মের বিবরণ পূরণ করুন:
যে রাজ্যে জন্ম হয়েছে (যেমন, পশ্চিমবঙ্গ) সেই রাজ্য নির্বাচন করুন। একটি ডিফল্ট ভাষা (ইংরেজি) এবং ঐচ্ছিকভাবে হিন্দি নির্বাচন করুন। রেজিস্ট্রেশেনর তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে।
ধাপ ২: সন্তানের তথ্য লিখুন:
জন্মের তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করুন। লিঙ্গ নির্বাচন করুন। যদি শিশুর আধার নম্বর পাওয়া যায়, তাহলে তা যোগ করুন।
ধাপ ৩: নাম প্রবেশ করান:
যদি শিশুর নাম চূড়ান্ত না হয়, তাহলে উপযুক্ত বাক্সে টিক দিন। অন্যথায়, প্রথম এবং শেষ নাম লিখুন।
ধাপ ৪: পিতামাতার তথ্য লিখুন:
পিতার বিবরণ (নাম, পদবি, আধার নম্বর, ইমেল, মোবাইল নম্বর) দিন। একইভাবে মায়ের বিবরণ দিন।
ধাপ ৫: ঠিকানার বিবরণ পূরণ করুন:
ঠিকানার অবস্থান হিসেবে "ভারতে" নির্বাচন করুন। পিতামাতার ঠিকানা যোগ করুন" টিক দিন।
ধাপ ৬: জন্মস্থান নির্বাচন করুন:
জন্মস্থান নির্বাচন করুন (যেমন, হাসপাতাল, বাড়ি, ইত্যাদি)। রাজ্য, জেলা এবং উপ-জেলা নির্বাচন করুন। যদি কোনও শহর নির্বাচন করেন, তাহলে ওয়ার্ডের বিবরণ দিন।
ধাপ ৭: রেজিস্ট্রেশন ইউনিট নির্বাচন করুন:
" রেজিস্ট্রেশন ইউনিট" এবং হাসপাতালের নাম নির্বাচন করুন। যদি হাসপাতাল তালিকাভুক্ত না থাকে, তাহলে ম্যানুয়ালি এর নাম লিখুন।
পরিসংখ্যানগত তথ্য পূরণ বিস্তারিত পূরণ করুন যেমন:
পিতামাতার আবাসিক ঠিকানা (যদি একে অপরের থেকে আলাদা হয়)। ধর্ম, শিক্ষা এবং পিতার পেশা। জন্মের সময় মায়ের স্বাস্থ্যের বিবরণ। এই জন্মের আগে মায়ের কত সন্তানের জন্ম হয়েছে। প্রসবের বিবরণ (হাসপাতালের ধরন, প্রসবের পদ্ধতি, শিশুর জন্মের ওজন, গর্ভাবস্থার সময়কাল)।
প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করা আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলি আপলোড করতে হবে (প্রতিটি 8MB এর কম):
হাসপাতালের ডিসচার্জ স্লিপ পরিচয়ের প্রমাণ (প্যান কার্ড, আধার, ইত্যাদি) সরকার-অনুমোদিত জন্ম শংসাপত্র অনুমোদন আপনার আবেদনের পূর্বরূপ দেখতে "পরবর্তী" ক্লিক করুন। চূড়ান্ত জমা এবং অর্থ প্রদান সমস্ত বিবরণ সাবধানে পর্যালোচনা করুন। আবেদন জমা দিন। ২০ টাকা ফি প্রদান করুন (দেরিতে আবেদন করলে জরিমানা হতে পারে)।