সংক্ষিপ্ত

জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলায় ভূমিধস। ১৩টি বাড় বসবাসের অযোগ্য। রাস্তায় ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাম চলাচল।

 

 

ভূস্বর্গেও ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ভূমিধস। জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে একটি বড় অংশের মাটি ধরে যায়। ইতিমধ্যেই এই এলাকায় ১৩টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। এলাকার প্রায় এক ডজনেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠান হয়েছে। তেমনই জানিয়েছে প্রশাসন। গ্রামের যাওয়ার মূল রাস্তাই ভূমিধসের কারণে নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ফাটল ধরায় যান চলচল ব্যহত হয়েছে। জানিয়েছে প্রশাসন।

রামবান জেলার সদর দফতর থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুরসার ডাল গ্রাম। এই গ্রামেই দেখা দিয়েছে ভূমিধস। গ্রামের ১৩টি বাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। একটি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকারই মেয়েদের স্কুলটিতেও ফাটল দেখা গিয়েছে। গত ১৫ দিন ধরেই এই এলাকার মানুষ লক্ষ্য করছিল মাটি বসে যাচ্ছে। তারা প্রশাসনকেও সবকিছু জানিয়েছিল। রবিবার প্রশাসন কার্যত স্বীকার করে নেয় ভূমিধসের কথা।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোল তানভির উল মাজিদ ওয়ানি জানিয়েছেন, গত তিন দিন দরেই ডাকলার ডালে গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যেই ১৩টি বাড়ি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। বাড়িগুলি আর বাসবাসের যোগ্য নয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিত ত্রাণ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে তাঁবু, রেশন আর বাসনপত্র দেওয়া হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে কম্বল। দেওয়া হয়েছে শুকনো খাবার। ব্যবস্থা করা হয়েছে পানীয় জলের।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। এই ভূমিধসের কারণ স্থানীয় একটি কবরখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজনের দেহ উত্তোলন করে অন্যত্র কবর দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। আপাতত মানুষের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কারণ বিভিন্ন এলাকায় এখনও মাটি বসে যাচ্ছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করবেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শের পরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসন আরও জানিয়েছে, মূলত কী কারণে এই ভূমিধস তাও খতিয়ে দেখা হবে।

জেলা প্রশাসন আরও জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামোকাবিলা দফতর ক্ষতিপুরণ দেবে। তাদের বাসস্থানেরও ব্যবস্থা করবে।

ভূমিধসের কারণে গল ও সাঙ্গলদানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিতেও বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বন্ধ করে দেওযা হয়েছে রাস্তা। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে পুরো বিষয়টি জানান হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তারা দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্থানীয় সরপঞ্চ রাকিব ওয়ানি বলেন, গোটা গ্রামের মানুষ আতঙ্ক রয়েছে। এই এলাকায় অতীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে জেলা প্রশাসন তাদের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন মাটি বসে যাওয়ার কারণে চাযেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর সেই কারণে কৃষকদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক সূর্ষ প্রকাশের নেতৃত্বে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তিন সদস্যের একটি দল রবিবার থারথ্রির নয়া বস্তি গ্রামে গিয়েছেন। তবে তারা এখনও ফাটলের কারণ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।

আরও পড়ুনঃ

৫ হাজার বছর আগে ফ্রিজের ব্যবহার ছিল, চমকে দিচ্ছে দক্ষিণ ইরাকে ঐতিহাসিকদের আবিষ্কার

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ত্রিপুরায়, বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে খুন সিপিআই(এম) সমর্থক

লোকসভা নিরাচনের আগেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন লাগু হবে, আশা প্রকাশ VHP নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার