সংক্ষিপ্ত

এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে দুই জনকে পদ্মবিভূষণ, আটজনকে পদ্মভূষণ এবং ৫৪ জনকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়। দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হয়েছে।

সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনা কর্তা বিপিন রাওয়াত (মরণোত্তর) সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ(President Ramnath Kovind)। পদ্ম পুরষ্কার প্রাপকদের মধ্যেই রয়েছেন ১২৫ বছর বয়সী স্বামী শিবানন্দ। তাঁকে এদিন রাষ্ট্রপতি পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করেন। যোগের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য স্বামী শিবানন্দজিকে(Swami Shivanandaji) এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। এদিন দেশের কিছু "অজানা নায়ক"-দের হাতে পদ্ম পুরষ্কার তুলে দিতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতিকে। যা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে এদিন স্বামী শিবানন্দের পদ্ম পুরষ্কার নেওয়ার সময় যে তাঁর অনাড়ম্বর জীবন শৈলী নজর কাড়ে সকলের। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে দুই জনকে পদ্মবিভূষণ, আটজনকে পদ্মভূষণ এবং ৫৪ জনকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়। দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হয়েছে। তার দুই মেয়েই রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। 
 
পদ্ম পুরষ্কার নেওয়ার সময় এদিন তাঁকে সাধারণ কুর্তা-ধুতি পরে খালি পায়ে মঞ্চে উঠতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাতে হাঁটু গেড়ে বসেন স্বামী শিবানন্দ। এতেই স্বামী শিবানন্দের সামনে মাথা নিচু করে মাটি স্পর্শ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যে ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ১২৫ বছর বয়সী স্বামী শিবানন্দ বর্তমানে কাশীর বাসিন্দা। এদিকে দেশের সেরা পুরষ্কার পাওয়ায় দুর্গাকুণ্ডে স্বামী শিবানন্দ আশ্রমে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তাঁর ভক্তদের মধ্যে।

আরও পড়ুন- ‘সেক্স পজিটিভিটি’ নিয়ে সঠিক ধারণাই তৈরি করতে পারে সুস্থ সম্পর্ক, সহজেই দূর করুন যৌনতা নিয়ে জড়তা

পুরষ্কার পাওয়ার পর স্বামী শিবানন্দ বলেছেন, “আগামীতে যোগ ব্যায়াম এবং ভারতীয় জীবন শৈলীতে সকলের বিশ্বাস বৃদ্ধি করবে। আমার জীবনধারা এবং যোগব্যায়াম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মানুষ তাদের জীবনকে সুস্থ করে তুলবে। যোগব্যায়াম ও প্রাণায়ামের মধ্য দিয়েই দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পেতে পারে মানুষ। আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষেরা এই পদ্ধতিতেই জীবন কাটিয়ে ১০০ বছরেরও বেশি সময় বেঁচে ছিল।”

আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল

আরও পড়ুন- আর যেতে হবে না সিনেমা হল, স্মার্টফোনেই চলবে থ্রিডি ভিডিও, নয়া আবিষ্কারে সাড়া ফেলল আইআইটি মাদ্রাজ

স্বামী শিবানন্দ ৮ অগাস্ট ১৮৯৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন যা বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে। স্বামী শিবানন্দের মতে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম এবং ঘরোয়া ওষুধের ব্যবহারই আমাদের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। তিনি তাঁর নিয়মিত রুটিন সম্পর্কে খুবই কঠোর। তিনি প্রতিদিন ভোর তিনটায় ঘুম থেকে ওঠেন। স্নান করে নিত্যকার্যকর্ম করে সে ভগবানের সেবায় মগ্ন হন। এত বয়স হওয়া সত্ত্বেও এখন কোনও রোগ তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। এমনকী রক্তচাপের সমস্যা বা সুগারও নেই তাঁর।