সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিভিন্ন দলেই দেখা যায়। কিন্তু তামিলনাড়ুর এরোডের এমডিএমকে সাংসদ এ গণেশামূর্তি যে চরম পদক্ষেপ নেন, তাতে সারা দেশ স্তম্ভিত।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুর এরোডের সাংসদ এ গণেশামূর্তিকে প্রার্থী করেনি এমডিএমকে। এরপরেই তিনি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেযাত্রা তাঁর প্রাণরক্ষা হলেও, বৃহস্পতিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হল। কোয়েম্বাটোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৭৬ বছর বয়সি এই এমডিএমকে সাংসদ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ২৪ মার্চ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। সেদিনই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হল। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া। লোকসভা নির্বাচনে ফের প্রার্থী হতে না পেরে এই সাংসদ যে চরম পদক্ষেপ নেবেন, সেটা কেউই ভাবতে পারেননি।
৩ বারের সাংসদ গণেশামূর্তি
১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে পালানি থেকে প্রথমবার সাংসদ হন গণেশামূর্তি। এরপর ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এরোড থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি তৃতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হন। এবারও তিনি প্রার্থী হবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায় ক্ষোভে-অভিমানে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। কীটনাশকের প্রভাবে তাঁর মৃত্যু না হলেও, হৃদরোগ প্রাণ কেড়ে নিল। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের পর এরোড থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কুমারভালাসু গ্রামে গণেশামূর্তির দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রয়াত সাংসদের ছেলে ও মেয়ে বর্তমান।
গণেশামূর্তির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ ভাইকোর
দলীয় সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে যান এমডিএমকে সম্পাদক ভাইকো। তিনি এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। ভাইকোর দাবি, দলীয় নেতাদের সিদ্ধান্তেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে গণেশামূর্তিকে প্রার্থী করা হয়নি। তবে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি নিজের জীবন শেষ করে দিলেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
এশিয়ানেট নিউজের মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষা, সন্দেশখালি বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে বিজেপিকে? কী বলছে সার্ভে
এশিয়ানেট নিউজের মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষায় গেরুয়া সাইক্লোনের ইঙ্গিত! মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে কংগ্রেস