সংক্ষিপ্ত
বিরোধী দলের নেতারা বারবার অভিযোগ করেন, অন্য দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিলেই দুর্নীতির মামলায় আর পদক্ষেপ হয় না। সেই অভিযোগের স্বপক্ষে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গত ১০ বছরে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা, তেলুগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, ওয়াই এস আর কংগ্রেস পার্টির মতো দলগুলি থেকে এমন ২৩ জন নেতা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর এই নেতাদের বিরুদ্ধে আর কোনও পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যেমন তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে, তেমনই আদালতেও শুনানি হচ্ছে না। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ১০ জন কংগ্রেস নেতা দল বদলে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। এনসিপি ও শিবসেনা থেকে ৪ জন করে নেতা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ৩ জন নেতা দল বদলে এখন বিজেপি-তে। তেলুগু দেশম পার্টির ২ জন নেতা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টি ও ওয়াই এস আর কংগ্রেস পার্টির ১ জন করে নেতা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন।
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরেও ২ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত
২৩ জন রাজনৈতিক নেতা অন্য দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর দুর্নীতির তদন্ত থেকে রেহাই পেয়েছেন বলে দাবি করা হলেও, ২ জন নেতা বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরেও তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই নেতারা হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতি মৃধা ও প্রাক্তন টিডিপি সাংসদ ওয়াই এস চৌধুরী। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ পুরোপুরি সত্যি নয়।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত স্তব্ধ?
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ২০২০ সালে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আর নারদ মামলায় তদন্তের অগ্রগতি হয়নি। ২০১৯ সাল থেকে পদক্ষেপের জন্য লোকসভার স্পিকারের অনুমতির অপেক্ষায় সিবিআই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Rahul Gandhi: 'ভারত মাতার কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে,' মনোনয়ন জমা দিয়ে বিজেপি-কে তোপ রাহুলের
Lok Sabha Elections: নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প কে? উত্তর দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী শশী থারুর