সংক্ষিপ্ত
রাত পোহালেই গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। আর তার আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
রাত পোহালেই গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। আর তার আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
শেষ লোকসভা ভোট। এবার পালা গণনার। মঙ্গলবার, দীর্ঘ কয়েকমাসের পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন সমস্ত দলের প্রার্থীরা। আর ঠিক তার আগেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় অকপট ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থার সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির নেতৃত্বে আসতে চলেছে এনডিএ সরকার। কার্যত, গেরুয়া ঝড় এবং মসনদে ফের একবার বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এইসবকিছুর মাঝেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন যে, সংখ্যার এদিক ওদিক হলেও ক্ষমতায় আসবে বিজেপিই। আর সোমবার সমীক্ষার ফলাফল সামনে আসতেই আরও বিস্ফোরক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে।
তিনি বলছেন, “পরবর্তীতে যখন রাজনীতি এবং ভোট নিয়ে আলোচনা চলবে, তখন বিজ্ঞদের মতো কথা বলা রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ফাঁকায় বসে থাকা সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিশেষজ্ঞদের কথা শুনবেন না এবং তাদের জন্য নিজের মূল্যবান সময় একদমই নষ্ট করবেন না।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে পিকে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে উল্লেখ করছিলেন যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জিতবে বিজেপিই। তারপরই বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। কিন্তু বিজেপি যে বারবার বলে আসছে তারা ৪০০ আসন পার করেই জয় পাবে, সেই প্রসঙ্গেও অকপট জবাব পিকে-র। তিনি নির্বাচনের একেবারে শেষভাগে এসে বলেন যে, গত ২০১৯ সালের লোকসভার মতোই এবার বিজেপি ৩০০ অথবা তার থেকে বেশি কিছু আসন নিয়ে জয় পেতে পারে।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরিষ্কার ব্যাখা, “বিজেপি একই সংখ্যক আসন কিংবা গতবারের তুলনায় সামান্য বেশি আসন নিয়ে জয় পেতে পারে। উত্তর ভারত এবং পশ্চিম ভারতে আমি কোনও আসন বাড়ার সম্ভাবনা দেখতে পাছি না। তবে হ্যাঁ, পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতে আসন সংখ্যা বাড়াতে পারে বিজেপি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ তেলেঙ্গনা এবং তামিলনাড়ুতে ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির।” পুরো হিসেব কষে পিকের দাবি, যদি উত্তর এবং পশ্চিম ভারত থেকে বিরোধীরা বিজেপিকে ৫০-১০০টি আসনে হারাতে পারে, তবেই একমাত্র বিজেপির হার সম্ভব। নাহলে নয়।
প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য ছিল, “সেইজন্য অবশ্যই শুধু কংগ্রেস নয়। সেইসঙ্গে অনেক বেশি আসনে জিততে হবে আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি এবং এনসিপি-কেও। যদি এই ৪টি বিরোধী দল ভালো ফল করতে পারে, তাহলেই একমাত্র উত্তর ভারত এবং পশ্চিম ভারতে বিজেপি তাদের জমি হারাতে পারে।” কিন্তু সেই আশা যে একেবারেই নেই, তাও তিনি জানান। আর এখন একের পর এক বুথ ফেরৎ সমীক্ষা সামনে আসতেই দেখা যাচ্ছে, তাঁর কথার সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই মুখ খুললেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।