সংক্ষিপ্ত

প্রেমিকা মদ কেনার টাকা দিতে অস্বীকার করেছিল। কুড়ুল দিয়ে তাঁর নাক কেটে দিল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খান্ডওয়া (Khandwa) জেলার এক ব্যক্তি। 
 

মদের টানে অদ্ভূত এক কাণ্ড ঘটালো মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খান্ডওয়া (Khandwa) জেলার এক ব্যক্তি। প্রেমিকা মদ কেনার টাকা দিতে অস্বীকার করায়, কুড়ুল দিয়ে তাঁর নাক কেটে দিয়েছে অভিযুক্ত লবকুশ প্যাটেল। পুলিশ জানিয়েছে তার বয়স ৪০ বছর। ৩৫ বছরের প্রেমিকা সোনুর সঙ্গে লিভ-ইন করতেন লবকুশ। ঘটনার পর অভিযুক্ত পালালেও, অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, গত দুই বছর ধরেই সোনুর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন লবকুশ। পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার সকালে সে মদ কেনার জন্য সোনুর কাছে ৪০০ টাকা চেয়েছিল। সোনু তাকে টাকা দিতে চাননি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সে পাশেই পড়ে থাকা একটি কুড়ুল তুলে তাই দিয়ে সোনুর নাক কেটে দেন। যন্ত্রনায় চিৎকার করে উঠেছিলেন সোনু। সেই চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে, তারাই পুলিশকে খবর দেয়। সোনুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করে। 

অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়েছিল লবকুশ। এফআইআর দায়েরের পর লবকুশ প্যাটেলের জন্য তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রবিবার, তাকে আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

এই ঘটনা অনেককেই ফেলুদার গল্পের লালমোহন বাবুর কথা মনে করিয়েছে। সোনার কেল্লা গল্পে, ফেলুদা লালমোহনবাবুকে জানিয়েছিলেন আরাবল্লীর ডাকাতদের বিষয়ে। আরাবল্লীর ডাকাতরা কেউ বেইমানি করলে তার গলা কাটে না, নাক কেটে দেয় বলে জানিয়েছিল ফেলুদা। রামের দুই ছেলের নামে নামাঙ্কিত ব্যক্তি তাঁর প্রেমিকার দশা কেন সুর্পনখার মতো করতে গেলেন, সেটাই বিস্ময়ের।   

এদিকে, লিভ-ইন সম্পর্কের জেরে গুজরাটের ভালসাদে এক ২০ বছর বয়সী যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেই মামলায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় ভুসরা। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বাগদান করেছিল সঞ্জয় ভুসরা। গত এক বছর ধরে সঞ্জয় ও সেই মহিলা, দুজনে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি মেয়েটির বাবা তাদের বিয়ের জন্য চাপ দিলে, সঞ্জয় ওই মহিলাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়। এতে মহিলার বাবা বিষয়টির মীমাংসার জন্য গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই কয়েরজন গ্রামবাসী মিলে সঞ্জয় ভুসরাকে নির্মমভাবে প্রহার করে। যে মারের আঘাত সহ্য করতে না পেরে তার মৃত্যু হয়।