সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের নিয়ম ভেঙেই জমায়েত মধ্য প্রদেশে
  • ধর্মীয় জমায়ের ঘিরে বাড়তে উদ্বেগ
  • জৈন ধর্মের সাধুকে স্বাগত জানাল ভক্তরা
  • মানা হয়নি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে গোটা দেশে। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে আক্রান্ত সংখ্যা ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২৪১৫ জনের। আক্রান্তের তালিকা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়ছে মধ্যপ্রদেশের। কারণ এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। কিন্তু তারপরেও মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বান্দা এলাকায় যে ছবি দেখা গিয়েছে তা রীতিমত উদ্বেগ বাড়িছে বলেও প্রশাসন সূত্রের খবর। 

আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের প্রথম পদক্ষেপ, এক নজরে দেখুন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির জন্য কেন্দ্রের ভূম...

আরও পড়ুনঃ করোনা সংকট রুখতে ও আত্মনির্ভর ভারত গড়তে প্রভিডেন্ট ফান্ডেও ছাড়, ঘোষণা নির্মলার ...

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় ভেষজ ওষুধ কতটা স্বস্তিত আনবে, কী বলছে আয়ুষ মন্ত্রক ...

এক জৈন সাধু প্রেমানসাগরের ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে রীতিমত ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসাহী জনতারা। অধিকাংশই তাঁর ভক্তবৃদ্ধ বলেও দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। যেখানে প্রায় ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দো গজ দুরির নিয়ম। ভিড়ে ঠাসা ছিল গোটা এলাকা। সাধু সঙ্গ করতে রীতিমত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল বলেই অভিযোগ। অধিকাংশ ভক্তই মাস্ক আর গ্লাভসের ব্যবহার করেননি। 

লকডাউনের তৃতীয় পর্ব চলছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও যে কোনও রকম সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। এই অবস্থায় কী করে সমাবেশ হয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যের করোনা সংকট কাটাতে রাজ্যের মানুষেদেরই মতামত চেয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব আর মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি লকডাউন মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীদের। সেই লকডাউনের কারণে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কী করে ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের প্রশাসনকে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে কী আর করোনা সংক্রমণ থেমে থাকবে? প্রশ্ন রাজ্য়েরই একাংশ বাসিন্দার।