সংক্ষিপ্ত

বৈতুলের এক গর্ভবতী যুবতীর মৃত্যু লিভ-ইন সম্পর্ক এবং প্রতারণার ঘটনা উন্মোচন করেছে। অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার, সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র। পুরো খবর পড়ুন।

মহারাষ্ট্রের বৈতুল জেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে পাঁচ মাসের গর্ভবতী এক যুবতীর মৃত্যু লিভ-ইন সম্পর্কের আড়ালে প্রতারণা এবং লোভের ষড়যন্ত্রের উন্মোচন করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবক পবন পাওয়ারকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হাসপাতালে ফেলে পালানোর চেষ্টা 

১৪ ডিসেম্বর অচেতন অবস্থায় যুবতীকে বৈতুল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার সঙ্গে আসা যুবক তাড়াহুড়ো করে হাসপাতাল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু লোকজন তাকে ধরে ফেলে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন ১৫ ডিসেম্বর যুবতীর মৃত্যু হয়। 

পরিবারের ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মৃতার পরিবার জানিয়েছে, যুবতী তার অবসরপ্রাপ্ত বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করত। অ্যাকাউন্টে ৯০ লক্ষ টাকা ছিল, কিন্তু এখন মাত্র ৪৫ লক্ষ টাকা আছে। পরিবার অভিযোগ করেছে যে, যে ছেলের সঙ্গে মেয়েটি লিভ ইনে ছিল, সেই ৪৫ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে।

জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে প্রতারণা 

পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত দুটি জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে যুবতীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। সে যুবতীর অ্যাকাউন্ট থেকে আট লক্ষ টাকা স্থানান্তর করে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং একটি স্কুটি কিনেছে। সে যুবতীর টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিল।

গ্রেফতারের পর পুলিশের সামনে অভিযুক্ত প্রেমিকের স্বীকারোক্তি 

পুলিশ অভিযুক্ত পবন পাওয়ারকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে জাল নথিপত্র, দুটি গাড়ি এবং একটি স্কুটি উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত যুবতীর সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং তার অপরাধ স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশ তার পটভূমি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। 

পুলিশের তদন্ত চলছে 

এই ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে পবন পাওয়ারের উদ্দেশ্য যুবতীকে ভালোবাসা নয়, বরং তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করা। পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্ত এই ধরনের প্রতারণা অন্য মহিলাদের সঙ্গেও করে থাকতে পারে। এই ঘটনা শুধু যুবতীর জীবনই শেষ করেনি, লিভ-ইন সম্পর্কের আড়ালে বাড়ುತ್ತ থাকা প্রতারণার দিকেও নজর ফিরিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার গভীর তদন্ত করছে। অন্যান্য সম্ভাব্য ভুক্তভোগীদের সন্ধান এবং অভিযুক্তের প্রতারণার অন্যান্য ঘটনাও তদন্ত করা হচ্ছে।