সংক্ষিপ্ত

কার্যকরী একনাথ শিন্ডে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বিজেপির যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোন, তাকে সমর্থন দেওয়া হবে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার ২৮ বা ২৯ নভেম্বর দিল্লি সফর করতে পারেন। ২ ডিসেম্বর ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

Maharashtra Assembly Election Result 2024: মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে জট এখন দূর হয়েছে। বিজেপির যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোন, তাকে সমর্থন দেওয়া হবে বলে কার্যকরী একনাথ শিন্ডে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, এখন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা অজিত পাওয়ার ২৮ বা ২৯ নভেম্বর দিল্লি সফর করতে পারেন।

সূত্রের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, এই সফরে তিন নেতা অমিত শাহর সাথেও দেখা করবেন এবং সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকে মন্ত্রীদের বিষয়েও আলোচনা হবে। অজিত পাওয়ার এবং একনাথ শিন্ডেকে দেওয়া মন্ত্রী পদের বিষয়েও আলোচনা হবে।

২ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ সম্ভব

এদিকে, ২ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী, এনডিএ-র সকল মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বড় শিল্পপতিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? একনাথ শিন্ডে উত্তর দিলেন

কার্যকরী একনাথ শিন্ডে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে সাসপেন্স একরকম দূর করেছেন। একনাথ শিন্ডে বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহর সাথে কথা বলেছি। তারা আমার কথা না ভেবে রাজ্যের জনগণের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা নেই এবং তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেওয়া হবে বলে শিন্ডে জানিয়েছেন। তিনি আজীবন মহারাষ্ট্রের সেবা করতে চান।

আমি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি - একনাথ শিন্ডে

একনাথ শিন্ডে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহ আমাকে আড়াই বছর সঙ্গ দিয়েছেন। আমার পিছনে দাঁড়িয়েছেন। এর জন্য আমি পুরো শক্তি দিয়ে দিনরাত কাজ করে গেছি। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে আমি ধন্যবাদ জানাই। জনসেবার কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তারা আমাকে শক্তি এবং অর্থ দিয়েছেন। আড়াই বছরে রাজ্যের অগ্রগতির গতি বাড়াতে আমি সফল হয়েছি।'' তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন পেলে রাজ্যের অগ্রগতি দ্বিগুণ হয়। আমার কার্যকালে আমি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা নিয়ে আমি গর্বিত।

তিনি বলেছেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকার থাকাকালীন রাজ্য প্রথম স্থানে ছিল। এমভিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য পিছিয়ে পড়ে। আড়াই বছরে আমি রাজ্যকে প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছি।