সংক্ষিপ্ত
- মলদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন নমো
- তাঁকে 'রুল অফ নিশান ইজুদ্দিন' সম্মানে ভূষিত করল মলদ্বীপ সরকার
- প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে ক্রিকেট ব্যাট উপহারও দিয়েছেন তিনি
- ভারত-মলদ্বীপের কূচনৈতিক সম্পর্ককে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা
মলদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মলদ্বীপে মাত্র দুদিনের সফরে তাঁকে 'রুল অফ নিশান ইজুদ্দিন' সম্মানে ভূষিত করল মলদ্বীপ সরকার। মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান। বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ এদিন টুইট করে জানান, বিদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য এটাই মলদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মান।
তবে এবার কিন্তু মোদী কেবল নিলেনই না, উপহার দিয়ে সম্মানিত করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে। মোদী তাঁকে একটি ক্রিকেট ব্যাট উপহারও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, নয়া দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মলদ্বীপের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে সাহায্য করতে ভারতের পক্ষ থেকে যথাযোগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। শুধু তাই নয় সমুদ্রব্ষ্টিত এই রাষ্ট্রে ভারতের পক্ষ থেকে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামও নির্মাণ করা হবে বলেও সাক্ষরিত হয়েছে চুক্তি। এখানেই শেষ নয়, দুদেশের যোগাযাগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে ফেরি পরিষেবাও চালু করবে ভারত।
মলদ্বীপের মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করে পাকিস্তানকে তোপ দাগলেন মোদী
এই দ্বীপ-রাষ্ট্রের প্রতি মোদী যেভাবে কল্পতরু হয়ে উঠলেন, তাতে ভারতের কূটনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহকে ভারতপন্থী বলেই মনে করা হয়। মনে করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট সোলিহকে সামনে রেখেই ভারত মলদ্বীপের ওপর তার হারিয়ে যাওয়া প্রভাবকে পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশেই এত আয়োজন করছে বলেই মত বিশিষ্টজনদের। পাশাপাসি মলদ্বীপের ওপরে চিনের যে প্রভাব, সেটাও নষ্ট করতে চাইছে বলে মত একাংশের। প্রসঙ্গত, ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে মলদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। তবে অবশ্য জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পরে দু'দেশের সম্পর্ক ফের উন্নতি হয়। এরপর গত বছর নভেম্বরে সে দেশের প্রেসিডন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মলদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।