সংক্ষিপ্ত
স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন দশম মাস আগে
তারই পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন এক যুবক
পরদিন জামাইয়ের মাথা কেটে নিলেন শ্বশুর
জামাই কী এমন বলেছিলেন যে এত রেগে গেলেন তাঁর শ্বশুর
স্ত্রীর দশ মাসের মৃত্যু দিবসে পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম সাড়তে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন এক যুবক। তারপরই শ্বসুরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি। আর থেকে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। ২৫ বছর বয়সী জামাই-এর মাথা কেটে নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন ৫৬ বছরের শ্বশুর। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায়।
জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবকের নাম পম্পনাপইনা লক্ষ্মণ। ১০ মৃত্য়ু হয়েছিল তাঁর স্ত্রী পাবনি-র। গত ৮ অগাস্ট, তিনি স্ত্রীর দশ মাসের মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি পারলৌকিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জগন্নাধপুরমে গ্রামে তাঁর শ্বশুর পল্লা সত্যনারায়ণ-এর বাড়িতে এসেছিলেন। সেইসব কাজকর্ম নির্বিঘ্নে মিটলেও, পরদিন সকালে লক্ষ্মণ বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নিলে, তখনই জামাই ও শ্বশুরের মধ্যে দারুণ তর্ক বিতর্ক শুরু হয়েছিল।
তাদের মধ্য়ে তর্ক লেগেছিল লক্ষ্ণণ ও পাবনির দুই মেয়ের দায়িত্ব কে নেবে তাই নিয়ে। পাবনির মৃত্যুর পর থেকে তাঁদের দুই মেয়ে দাদুর কাছেই ছিল। সত্যনারায়ণ লক্ষ্মণকে বলেছিলেন তাঁর দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যেতে। তাতে লক্ষ্মণ তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি কাছে তাঁর দ্বিতীয় বিবাহের ব্যবস্থা করার দাবি জানান বলে অভিযোগ। লক্ষ্মণ বলেছিলেন, তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী মেয়েদের দেখাশোনা করবে। সেই এই প্রস্তাব দিতেই প্রচণ্ড রেগে যান সত্যনারায়ণ। তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই একটি দায়ের ঘাটয়ে জামাইয়ের শিরশ্ছেদ করেন।
এরপর রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ জামাইয়ের কাটা মাথাটি নিয়েই সত্যনারায়ণ আন্নাভরম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা করেছে। তবে এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তার তদন্তও করা হচ্ছে।