সংক্ষিপ্ত

  • ২০১৩ সালে বিয়ে হয়েছিল 
  • ২ মাস যেতেই স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়
  • শ্বশুরবাড়ি জামাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করে
  • স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে জেল খাঁটতে হয় স্বামীকে

নিজের স্ক্রীকে খুন করেছেন। এমন অভিযোগই উঠেছিল ওড়িশার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যার জন্য জেলও খাটতে হয় অভয় সুতার নামে ওই ব্যক্তিকে। অবশেষে ঘটনার সাতবছর পর নিজের মৃত স্ত্রীকে খুঁজে পেলেন অভয়। সঙ্গে দেখা মিলল  স্ত্রীর প্রেমিকেরও।

আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে ওড়িশার পাতকুরার চাওলিয়া গ্রামের অভয় সুতারের বিরুদ্ধে উঠেছিল নিজের স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ। যার জন্য একমাস জেলবন্দি হয়ে থাকতে হয় তাঁকে। তবে প্রথম থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে আসছিলেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভাঙতে প্রেমিকাকে ধর্ষণ চিকিৎসক ছাত্রের, ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল তরুণীকে

অবশেষে গত সোমবার যাবতীয় রহস্যের সমাপতন হল। অভয়েকর মৃত স্ত্রীকে খুঁজে পেল পুলিশ। পুরি জেলার পিপলিতে দেখা মিলল তাঁর স্ত্রী ও প্রেমিকের।

২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সামাগোলা গ্রামের ইতশ্রী মহারাণার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল   অভয় সুতারের। কিন্তু বিয়ের দুমাসের মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যায় ইতশ্রী। নিজের স্ত্রীর খোঁজে বহু জায়গায় ঘুরলেও হতাশ হতে হয় অভয়কে। এরপর ২০ এপ্রিল পাতকুরা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন অভয়। অন্যদিকে ওই বছরের ১৪ মে ইকশ্রীর বাবা প্রহ্লাহ মহারাণা জামাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করে। অভিযোগে জানান হয়, নিয়মিত স্ত্রীর উপর পণের দাবিতে অত্যাচার করত অভয়। এমনকী ইতশ্রীকে খুন করে অভয় লুকিয়ে রেখেছে এমন অভিযোগও করা হয়।  এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। যদিও মাসখানেক জেলে কাটানোর পর জামিনে মুক্তি পান অভয়। এরপর থেকেই স্ত্রী ইতশ্রীকে খুঁজে যাচ্ছিলেন অভয়। 

আরও পড়ুন: এবার ৪৬ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, ফের জেটকর্তা নরেশ গয়ালের বাড়ি হানা দিল ইডি

হারানো স্ত্রীর সন্ধানে নানা জায়গায় যান অভয়। শেষপর্যন্ত অবশ্য ভাগ্য সহায় হয় তাঁর। মৃত স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতশ্রী ও তাঁর প্রেমিক রাজীব মহারাণাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে ইতশ্রী জানিয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। বাবা-মার কারণেই অভয়কে বিয়ে করতে হয়েছিল। তাই বিয়ের দুমাসের মধ্যেই সুযোগ বুঝে রাজীবের সঙ্গে চম্পট দিয়েছিল সে। ওড়িশা থেকে পালিয়ে গুজরাতে চলে যায় দুজনে। সেখানে এক ছেলে ও মেয়ের জন্মও দেয় ইতশ্রী। তবে কিছুদিন আগেই ওড়িশায় ফিরেছিল দুজনে। ভুবনেশ্বরে অটো চালাচ্ছিল রাজীব।