সংক্ষিপ্ত
মণিপুরে মহিলাদের ওপর হওয়া যৌন নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন দেশের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা এটি।
'মণিপুরে মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে তা কখন ক্ষমা করা যায় না। এই ঘটনাটি দেশের জন্য লজ্জাজনক। দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না। ' সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরুর আগে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে জোর করে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন মণিপুরের মহিলা নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সংসদে প্রবেশের আগেই।
মণিপুরের হিংসার ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খুলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত কয়েক মাস ধরেই মণিপুর উত্তপ্ত জাতিগত হিংসার কারণে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহে মণিপুর সফরের পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তবে এই বিষয় নিয়ে বিরোধীরা একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাইলেও তা নিয়ে মুখ খুলেননি মোদী। এই প্রথম মণিপুরে মহিলাদের ওপর হওয়ার হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তিনি। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে বিজেপি শিবিরে।
মণিপুরের উপজাতীয় নেতাদের ফোরাম এই বিষয় নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ মে। রাজধানী ইম্ফল থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায়। এই ঘটনায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল কাংপোকপি জেলায়। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় এক জননেতার সামনে তিন মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানো হয়েছে। এই ঘটনা পাঁচা জনের একটি দলকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। যারা মণিপুর হিংসার ঘটনাতেও জড়িত। মহিলাদের বিরুদ্ধে একজনকে অপরহণের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে এক জনের বয়স ১৯। তার ভাই মহিলাকে উদ্ধার করতে এলে তাকেও খুন করে ধর্ষকরা।
গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হতেই তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পুলিসকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছে, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও মন্ত্রকের মুখ্য সচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, 'এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।' ভিডিওটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে স্বতোঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে অরবিন্দ কেরজিওয়াল সকলেই এই ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের চিহ্নি করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।