সংক্ষিপ্ত
লাঠিচার্জ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজ্য সরকারের দাবি যে এই মামলাটি ইতিমধ্যেই CBI-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
ফের উত্তপ্ত মণিপুর। মঙ্গলবার মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষার্থীরা। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। টিয়ার গ্যাসের শেলও ছোঁড়া হয়। পুলিশের অভিযানে আহত হয় ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থী। আহতদের অধিকাংশই মেয়ে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ দুই যুবকের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছিলেন এই পড়ুয়ারা। আধিকারিকরা বলেছেন যে ফাইজম হেমজিৎ (২০) এবং হিজাম লিন্থোইঙ্গাম্বি (১৭) এই বছরের জুলাইয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাকে শেষ দেখা গেছে একটি দোকানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। এরপর থেকে তাদের কারো কাছ থেকে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে লাঠিচার্জ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজ্য সরকারের দাবি যে এই মামলাটি ইতিমধ্যেই CBI-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
এখন দুই যুবকের মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে একজনের মাথা কাটা দেখা যায়। এই ছবি দেখে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার মণিপুর পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের দিকে পায়ে হেঁটে মিছিল করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা মঙ্গলবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, মণিপুরের জঘন্য অপরাধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নীরব। এটা লজ্জাজনক। প্রিয়াঙ্কা X (আগের টুইটারে) লিখেছেন, মণিপুর থেকে আরও একটি চমকপ্রদ খবর এসেছে। জাতিগত হিংসার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে শিশুরা। তাদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। মণিপুরে যে ভয়ঙ্কর অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না, তবুও তা অবিরাম অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে রাজ্য সরকার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল যে দুই ছাত্র হত্যার মামলা ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে, সক্রিয়ভাবে এই মামলাটি তদন্ত করছে যাতে দুই ছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও, যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের চিহ্নিত করা যাবে। অপরাধীদের ধরতে তল্লাশি অভিযানও শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।