সংক্ষিপ্ত
'এক জেলা, এক বাহিনী' নীতির অর্থ হল একটি জেলায় একটি আধাসামরিক বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে। অর্থাৎ এই ব্যবস্থার আওতায় একটি বাহিনীকে জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হবে।
প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও মণিপুরে হিংসার আগুন থামছে না। এখনও পর্যন্ত হিংসায় ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছে, কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাজ্যে মেইতেই এবং কুকি নামে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ এখনও জারি রয়েছে। ২৭শে আগস্ট বিক্ষোভকারীরা বিজেপির একটি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুই শিক্ষার্থী হত্যার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাহাড়ি এলাকায় AFSPA ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এদিকে হিংসা নিয়ন্ত্রণে সরকার 'এক জেলা, এক বাহিনী' ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারে।
এক বাহিনী এক জেলা নীতি কি?
তথ্য অনুযায়ী, 'এক জেলা, এক বাহিনী' নীতির অর্থ হল একটি জেলায় একটি আধাসামরিক বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে। অর্থাৎ এই ব্যবস্থার আওতায় একটি বাহিনীকে জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হবে। জেলায় যে কোনো ঘটনা ঘটবে তার জন্য ওই বাহিনী দায়ী থাকবে। এতে বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমবে এবং হিংসা বন্ধে সফল হবে। এখনও অবধি, মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে পুলিশের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনীও সাহায্য করছে।
এই ব্যবস্থার সুবিধা কী হবে?
নিরাপত্তা আধিকারিকদের মতে সরকারের এই পদক্ষেপ কেবল বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ই তৈরি করবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করবে। যেহেতু জেলায় একটি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে, সেহেতু সেখানকার সব কিছুর জন্য তার কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। কারণ এখন পর্যন্ত রাজ্যে ঘটনার দায় নিতে বাহিনী একে অপরকে এড়িয়ে চলেছে। অফিসারের মতে, আরপিএফ-এর আরও কর্মী রয়েছে, তাই তাদের একাধিক জেলায় মোতায়েন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মণিপুরে ১৬টি প্রশাসনিক জেলা রয়েছে। ২০২৩-এর ৩ মে থেকে শুরু হওয়া হিংসার পরে, রাজ্যে পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং সেনাবাহিনীর কিছু সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনীর ২০০টিরও বেশি কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে। তাদের মধ্যে সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং আসাম রাইফেলসের কর্মীরা রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও হিংসা থামছে না। এটি বন্ধ করতে সরকার এখন ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান ফোর্স সিস্টেম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে।