সংক্ষিপ্ত

ভিজ্যুয়ালে দেখা যাচ্ছে এক দল মানুষ আক্রমণ করে, যাদের অধিকাংশ মহিলা। তারাই হুইরেম হেরোদাস মেইতির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দেখুন সেই ভিডিও।

 

মণিপুরের ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে ক্রমশই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। মাসের দুইয়েকের আগের তোলা ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে উত্তেজিত জনতা। এবার উত্তেজিত জনতা এক অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিল। স্থানীয়দের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাড়ির তরুণই মহিলাদের নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করেছিল। প্রধান অভিযুক্ত হুইরেম হেরোজাস মেইতির বাড়িতে এদিন একদন মানুষ আক্রমণ করে। মাটির বাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর করে তারপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিজ্যুয়ালে দেখা যাচ্ছে এক দল মানুষ আক্রমণ করে, যাদের অধিকাংশ মহিলা। তারাই হুইরেম হেরোদাস মেইতির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দেখুন সেই ভিডিও।

 

 

মণিপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও মানুষের ক্ষোভ কমনি। মহিলাদের নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল গত ২ মে। কিন্তু সেই সময় মণিপুরে হিংসার কারণে ইন্টারনেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি মণিপুরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত নয়। তারপরই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তারপরই দ্রুত মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। যা নিয়ে নতুন করে ক্ষোভের আগুনে জ্বলে ওঠে মণিপুর। যদিও মণিপুরে ঘটনার আঁচ পড়েছে গোটা দেশে। মণিপুরে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হচ্ছে সংসদও। সেখানেও বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সরব।

অন্যদিকে মণিপুরের এক নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, একটি মাঠে নিয়ে দিয়ে দিনের বেলা সকলের সামনে তাদের একের পর এক ধর্ষণ করে উন্মত্ত জনতা। নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, কাংপোকপি জেলায় তাদের গ্রামে একদল মানুষ আক্রমণ করেছিল। সেই সময় তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সংলগ্ন একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল। থাউবার পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছিল। পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই রাস্তায় তাদের আটকে দেয়এক জন উন্মত্ত জনতা। থানা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই পুলিশই উন্মত্ত জনতার হাতে উদ্ধার হওয়া মহিলাদের তুলে দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, উন্মত্ত জনতা যখন তাদের বিবস্ত্র করে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচ্ছিল সেই সময় পুলিশও সেই ভিড়ের সঙ্গে ছিল। নির্যাতিনা মহিলা আরও জানিয়েছেন প্রবল অত্যাচারের পর ধর্ষকরা মনে করেছিল তারা মরে গেছে। তারপর তাদের মাঠের মধ্যে রেখে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। মহিলা আরও বলেছিলেন একজন তাদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেই তরুণকে খুন করে দিয়েছে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন মণিপুরের যা ঘটেছে তা ক্ষমার আযোগ্য। দেশের কাছে লজ্জাজনক মণিপুরের ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টও মণিপুরের ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। বলেছেন সংবিধান ভেঙে পড়েছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন শাহ জানিয়েছেন গোটা ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে অমিত শাহ বিষয়টি ওয়াকিবহাল। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষের রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেরজিওয়াল মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন।