সংক্ষিপ্ত
- বিদায়ী বিধায়কদের কাজ নিয়ে সমীক্ষা
- কাজের নিরিখে এক নম্বরে মনীশ শিশোদিয়া
- দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া পেয়েছন ৪.৩ পয়েন্ট
- কাজের নিরিখে ৪ নম্বরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। সবদলই এখন প্রচার চালাচ্ছে জোর কদমে। দেশের রাজধানীর মসনদ দখল করতে লড়াইটা তাই হাড্ডাহাড্ডি। প্রচারের ময়দানে তাই নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। তবে ভোটের আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বেশ স্বস্তি দিতে পারে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টিকে।
৭১টি আসন নিয়ে গঠিত দিল্লি বিধানসভা। গত নির্বাচনে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়াদের কাজ নিয়ে দিল্লিবাসীর উপর একটি সীমাক্ষা চালিয়েছিল একটি এজেন্সি। গত ২ বছর ধরে চলা অ্যাপ ভিত্তিক এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ দিল্লিবাসী। আর তাদের বিচারেই কাজের নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া।
আরও পড়ুন: বরকে স্বাগত জানাতে নিজেই নাচলেন নববধূ, ভাইরাল হল ভিডিও
আম আদমি পার্টিতে কেজরিওয়ালের পরেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে শিশোদিয়ার। এতদিন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর পদও সামলেছেন তিনি। সমীক্ষায় ৫-এর মধ্যে ৪.৩ পয়েন্ট পেয়ে কাজের নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন মনীশ। তার পরেই রয়েছেন হরিনগরের আগম বিধায়র জগদীপ সিং। ৫-এর মধ্যে তাঁর পয়েন্ট ৪। যদিও এবার আপের হয়ে ভোটে লড়ছেন না জগদীপ।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে কাজের নিরিখে এই পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। নম্বরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সঙ্গম বিহারের আপ বিধায়ক দীনেশ মোহনিয়া। তার পয়েন্ট ৫-এর মধ্যে ৩.৭। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পয়েন্ট ৫-এর মধ্যে ৩.২। শিক্ষা, সাস্থ্যের মত বিষয়ে ৭১ শতাংশ মানুষ তার কাজে খুশি। যদিও দূষণ ও দিল্লির রাস্তা নিয়ে রাজধানীবাসীর ক্ষোভ রয়েছে কেজরিওয়ালের উপর।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে অনর্গল বাংলা বলে ভাইরাল হলেন জাপানি কন্যা, খেতে ভালবাসেন সর্ষে ইলিশ
সমীক্ষায় অম্বেদকর নগরের আপ বিধায়ক অজয় দত্ত রয়েছেন একেবারে পিছনে। কাজের নিরিখে ৫-এর মধ্যে অজয় পয়েছেন মাত্র ১.৮। আর সার্বিক ভাবে কাজের নিরিখে আপ বিধায়করা পয়েছেন ২.৫১ পয়েন্ট। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়করা গড়ে পয়েছেন ২.৪ পয়েন্ট। গত বিধানসভা ভোটে দিল্লিতে অবশ্য বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল মাত্র ৪। ৬৭টি আস জিতে সরকার গড়েছিল আম আদমি পার্টি। তবে এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেদিনই ফল ঘোষণা হবে দিল্লি বিধানসভা ভোটের।