সংক্ষিপ্ত
বস্তুত সরকারি কর্মীদের কাজের গুনগতমান বা ইচ্ছা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে অতীতে। বছর যায়, সরকার পাল্টায়, কিন্তু সরকারি দপ্তর বা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবার নাকি একের পর এক সরকারি কর্মীর চাকরি যাবে! এমনই রিপোর্ট উঠে আসছে। কারা হারাতে চলেছেন নিজেদের চাকরি! তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুরোদমে কাজ।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট দাবি করেছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দপ্তর থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে প্রায় ৫০০ কর্মচারীকে। আমলাদের সাথে গত আগস্ট মাসের একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারি দপ্তরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘১৬ বার চারধাম যাত্রাতেও মোক্ষ লাভ হয় না সরকারি ফাইলের’।
বস্তুত সরকারি কর্মীদের কাজের গুনগতমান বা ইচ্ছা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে অতীতে। বছর যায়, সরকার পাল্টায়, কিন্তু সরকারি দপ্তর বা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার সেই সব কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নিতে পারে সরকার। জানা যাচ্ছে, উৎসবের মরশুমে ছাঁটাই করা হতে পারে বহু সরকারি কর্মীকে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী সিসিএ পেনশন রুলের, মৌলিক ধারা ৫৬(জে)-র উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সচিবদের বলেন, যেসব কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে অথবা যারা ঠিকমতো কাজ করছেন না তাদের জনস্বার্থে অবসরে পাঠানো হোক। সিসিএ পেনশন রুলের ৪৮ নং ধারা অনুযায়ী, ‘জনস্বার্থে’ ছাঁটাই করা যেতে পারে ৩০ বছর বা তার অধিক সময় ধরে যে কর্মচারী চাকরি করে ফেলেছেন তাকে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের বাধ্যতামূলক অবসরের ক্ষেত্রে সরকারকে দিতে হয় তিন মাসের নোটিশ বা তিন মাসের আগাম বেতন। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে ৫৫ বছর বা তার অধিক বয়সী কর্মচারীরা (Government Employees) প্রভাবিত হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।