সংক্ষিপ্ত

বিষয়টি যাতে সংসদে ওঠে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেছেন আদালত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আইনসভার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাদের বিষয়গত মূল্যের রায়কে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। 

বিতর্কিত বৈবাহিক ধর্ষণ মামলায় কোনও সমাধান সূত্র দিতে পারল না দিল্লি হাইকোর্ট। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলা যায় কিনা সেই ইস্যুতে বিভক্ত রায় দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত।  দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি রাজীব শাকধের ও হরি শঙ্কর তাঁদের রায়ে একমত হতে পারেননি। এবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাবে। 

ডিভিশন বেঞ্চের  শীর্ষে থাকা বিচারপতি শঙ্কর  বলেছিলেন তিনি বিশ্বাস করেন বৈবাহিক ধর্ষণ আইনে ব্যতিক্রম, সংবিধান লঙ্ঘন করে না। তিনি এটি বাতিল করার পক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে বিচারপতি হরি শঙ্কর বলেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ব্যতিক্রমটি অসাংবিধানিক নয়। এবং  একটির একটি বোধগম্য পার্থক্য রয়েছে। 

আবেদনকারীরা ৩৫৭ আইপিসি (ধর্ষণ) ধারার অধীনে বৈবাহিক ধর্ষণের ব্যতিক্রমের সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। বলা হয়েছিল স্বামীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার বিবাহিত মহিলাদের প্রতি বৈষম্য করে এই ধারাটি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় বলা হয়েছে ব্যতিক্রমের অধীনে কোনও পুরুষের দ্বারা তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন বা যৌন ক্রিয়াকলাপ ধর্ষণ বলে চিহ্নিত করা যাবে না। স্ত্রী যদি নাবালিকা হয় তাহলেও তা ধর্ষণ বলে চিহ্নিত করা যাবে না। 

রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি শাকধের বলেন 'আমি খুব উদ্বিগ্ন, অপ্রকৃত বিধান- ৩৭৫ ও ৩৭৫ (ই) এই দুটি ধারা ১৪, ১৫, ১৯(১). এবং ২১ নম্বর অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে।' তিনি আরও বলেন এই ঘোষণাটি ঘোষণার দিন থেকেই কার্যকর হবে। যাইহোক বিচারপতি শঙ্কর বলেছেন, 'আমি আমার বিদদ্ধ ভাইয়ের সঙ্গে একমত হতে পারিনি।'

তবে বিষয়টি যাতে সংসদে ওঠে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেছেন আদালত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আইনসভার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাদের বিষয়গত মূল্যের রায়কে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। ব্যতিক্রমটি একটি বোধগম্য পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে। তিনি বলেন আবেদনকারীদের দ্বারা বিধানের চ্যালেঞ্জ টিকতে পারে না। 

ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র একটি পরামর্শমূলক প্রতিক্রিয়ারপরে এই বিষয়ে তাদের অবস্থান জানানোর জন্য আদালতকে আরও সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। দিল্লি হাইকোর্ট বুধবার বৈবাহিত ধর্ষণেকে অপরাধীকরণের ইস্যুতে একটি বিভক্ত রায় দিয়েছে যার একজন বিচারকর এই বিধানটি বাতিল করার পক্ষে আর অন্যদন এটিকে অসাংবিধানিক নয় বলে ধরে রেখেছেন। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দুই পক্ষকেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে শীর্ষ আদালতে। 

Viral Video: প্রবল গরমে হিমবাহ গলে গিয়ে বন্যা, পাকিস্তানের জলের তোড়ে ভেসে গেল ঐতিহাসিক সেতু

চুলের ডগায় লুকিয়ে ভাগ্যের দিশা, আপনার চুলই বলে দেবে আপনার পরিচয়

নারী নির্যাতনের করুণ কাহিনি- বিয়ের কার্ড বিলির সময়ই তরুণীকে অপহরণ, গণধর্ষণ আর বিক্রি