সংক্ষিপ্ত
স্বল্প সময়ের বৈঠক হয়। অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন ত্রিপুরায় কীভাবে তৃণমূল নেতা ও সাংসদদের মারধর করা হচ্ছে।
ত্রিপুরায় (Tripura) দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সকাল থেকেই নর্থ ব্লকে ধর্না দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ (TMC MP)। সূত্রের খবর ছিল অমিত শাহ ত্রিপুরা ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদদের কোনও কথাই শুনতে রাজি নন। সেই কারণে তিনি দেখাও করেননি অবস্থান বিক্ষোভে বসে থাকা সাংসদদের সঙ্গে। যা নিয়ে কলকাতা ছেড়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bnerjee)।
কিন্তু বিকেলে কিছুটা হলেও সুর নরম দিল্লি সরকারের। সোমবার বিকেলেই তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল অমিত শাহর বাড়িতে (Amit Shah's house) গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি পৌঁছানোর আগেই তৃণমূল সাংসদদের কথা বলেন অমিত শাহ। সৌগত রায়ের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি এই ধর্না অবস্থানে অংশ নেবেন। সেই কারণেই কিছুটা চাপে পড়েই তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন অমিত শাহ।
Tripura: ত্রিপুরা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তৃণমূল, টুইট করে ব্যবস্থা নেওযার আবেদন অভিষেকের
স্বল্প সময়ের বৈঠক হয়। অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন ত্রিপুরায় কীভাবে তৃণমূল নেতা ও সাংসদদের মারধর করা হচ্ছে। কীভাবে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাল্টা অমিত শাহ তাঁদের জানিয়েছেন রবিবারই এই বিষয় নিয়ে তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজ্যের কাছ থেকে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চাইবেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। দফায় দফায় তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ তিন ঘণ্টায় থানায় ডেকে জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টারও অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকেই নর্থ ব্লকে ধর্না অবস্থানে বলে তৃণমূলকংগ্রেসের সাংসদরা। রাতেই তৃণমূলের জনা ১৫ প্রতিনিধি দল দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন সকাল থেকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। দিনভর বিক্ষোভ অবস্থানের পর বিকেলে অমিত শাহ তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন।