সংক্ষিপ্ত
'মুরগি, পাঁঠা, মাছ ছেড়ে বেশি বেশি করে গরু খেতে বললেন বিজেপি মন্ত্রী। এবার গরু নিয়েও বিবাদে জড়াতে পারে অসম ও মেঘালয়।
'মুরগি, পাঁঠা এবং মাছ খাওয়ার থেকে বেশি বেশি গরু খান', এবার এমন কথাই শোনা গেল বিজেপির এক মন্ত্রীর মুখ থেকে! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। পাশের রাজ্য অসমে যখন গরু সংরক্ষণ আইন আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তখন উত্তর-পূর্বের আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য, মেঘালয়ের মন্ত্রী সানবোর শুল্লাই রাজ্যের মানুষকে গোমাংস খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করলেন। ভুতের মুখে রামনামের মতো , কেন বিজেপির একজন মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নেতার মুখে গোমাংস ভক্ষণের কথা?
গত সপ্তাহেই মেঘালয়ের পশুপালন ও পশুচিকিত্সা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন সানবোর শুল্লাই। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মানুষকে মুরগি, মাটন বা মাছের চেয়ে বেশি করে গোমাংস খেতে উৎসাহিত করি।' তাঁর দাবি, এতে করে তাঁর দলের ভাবমূর্তির পরিবর্তন হবে। সকলে যে মনে করে, বিজেপি গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, তা দূর হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই বিশিষ্ট বিজেপি নেতা আরও বলেন, 'গণতান্ত্রিক দেশে সবাই যা খুশি তা খাওয়ার বিষয়ে স্বাধীন'।
তবে, তিনি গরু খেতে বললেই তো হল না রাজ্যে জবাইয়ের মতো গরু আসতেও হবে। সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে অসমের নতুন গরু সংরক্ষণ আইন, মেঘালয়ে এরকম একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অসমের এই আইন গরু পরিবহণের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি করার কথা বলেছে। এই অবস্থায় সানবোর শুল্লাই আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতিবেশী রাজ্যের নতুন গরু আইনের প্রভাব যাতে মেঘালয়ে গবাদি পশু পরিবহনে বাধা না হয়, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করবেন।।
বর্তমানে সীমান্ত বিবাদে জর্জরিত অসম-মিজোরাম। তবে মেঘালয় ও অসমের মধ্যেও সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। অমস-মিজোরামের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপি মন্ত্রী রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, অসমের জনগণ যদি সীমান্ত এলাকায় মেঘালয়ের বাসিন্দাদের হেনস্থা করতে থাকে, তাহলে তাঁরা আর 'শুধু আলোচনা এবং চা পান' করবেন না। বরং, রাজ্যের সীমান্ত এবং তার জনগণের সুরক্ষায় রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করবেন। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, তিনি হিংসার পক্ষপাতি নন। তবে অসম পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে হবে মেঘালয় পুলিশকে। মিজোরাম পুলিশ যেভাবে তাদের মাটি এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য সামনের সারিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, মেঘালয় পুলিশকেও তাই করার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপি মন্ত্রী।