Satya Nadella On Pm Modi: ভারতে এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে এবার বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চলেছেন মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলা। কত টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন তিনি? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Satya Nadella On Pm Modi: ভারতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজেন্ট বা এআই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিল্লির বাসভবনে এআই-ফার্স্ট’ ভবিষ্যৎ গঠনে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

এই বিষয়ে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাডেলা মঙ্গলবার ঘোষণা করেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও দক্ষতা গড়ে তুলতে ভারতকে সহায়তা করার লক্ষ্যে তিনি ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছেন। এশিয়ায় মাইক্রোসফটের এটাই হবে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।

Scroll to load tweet…

কত টাকা বিনিয়োগ করছে মাইক্রোসফট কর্তা?

 মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা পোস্ট করে তিনি এই ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘’ভারতের এআই সম্ভাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে মাইক্রোসফট এশিয়ায় আমাদের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ—১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার—ঘোষণা করছে। এই তহবিল ভারতের এআই–কেন্দ্রিক ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।'' 

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত অগ্রগতি যে বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থানের ধরন বদলে দিচ্ছে, তা নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে আগামী দশ বছরে যে ধরনের অস্থিরতার ইঙ্গিত দিয়েছে, তা বিশেষজ্ঞদেরও চিন্তায় ফেলেছে।

 ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল রিসার্চের (NFER) রিপোর্ট বলছে—AI এবং অটোমেশন প্রযুক্তির বিস্ফোরণমুখী বৃদ্ধির ফলে দেশজুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ কম দক্ষতার চাকরি ২০৩৫ সালের মধ্যেই পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।

 গত ২৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্টে NFER জানায়, অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)–র বিস্তারের ফলে আগামী দশ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার বড় ধরনের রূপান্তরের মুখোমুখি হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ (≈ ৩ মিলিয়ন) “লো-স্কিল” চাকরি geheel বা আংশিকভাবে বিলুপ্তির শিকার হতে পারে। 

এই ঝুঁকিতে পড়া চাকরির মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারী, গুদামের কর্মী, মেশিন অপারেটর, বিক্রয় বা গ্রাহক পরিষেবা, সাধারণ অফিস সহকারী, ট্রেড ও রুটিন ম্যানুয়াল কাজ — প্রধানত, যেসব কাজ নিয়মিত ও পুনরাবৃত্তিমূলক, AI বা অটোমেশনের দ্বারা সহজেই প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।