সংক্ষিপ্ত

মোদী সরকারের সঙ্গে টুইটার সংস্থার সংঘাত এবার চরমে উঠল

শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীরই অ্য়াকাউন্ট এক ঘন্টা ব্লক করে রাখা হল

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের জন্য়ই এমনটা হয়েছে বলে দাবি টুইটারের

রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য বলছেন, তাঁর বক্তব্যের প্রভাবে ভয় পেয়েই টুইটার এটা করেছে

 

শুক্রবার তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট এক ঘন্টার জন্য হ্লক করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানিয়েছেন, টুইটার সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হয়েছে' - এই অভিযোগেই তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকার অধিকার কিছুক্ষণের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই ওই প্রায় ১ ঘন্টা সময়, মন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্টটি জনসাধারণ দেখতে পেলেও, টুইটারের পক্ষ থেকে ওই অ্যাকাউন্টটিতে কাউকেই লগ ইন করতে বা ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোনও পোস্ট করতে দেওয়া হয়নি।

রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইটার ফিডে এরর মেসেজে বলা হয়েছে, টুইটার তার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা বিষয়বস্তুর বিরুদ্দে ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগ পেয়েছে বলে তাঁর অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে গিয়েছে। এছাড়া টুইটার, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি তথা আইনমন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেছে, এরপর এই জাতীয় কপিরাইট অ্যাক্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগ এলে তাঁর অ্যাকাউন্টটি আবার লক হয়ে যেতে পারে, এমনকী সাসপেন্ডও করে দেওয়া হতে পারে। এই সতর্কতা দিয়ে তার অ্যাকাউন্টটি ফের আনলক করা হয়।

টুইটারে বাধা পেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরণাপন্ন হয়েছেন আরেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'কু'-এর। সেখানেই তিনি প্রথম ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগের প্রায় এক ঘন্টা তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার খবর জানান। তিনি আরও বলেন, টুইটারের এই পদক্ষেপ ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০২১-এর বিধি লঙ্ঘন করেছে। বিধি অনুযায়ী, তাঁর নিজের অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস অস্বীকার করার আগে টুইটারকে নোটিশ দিতে হত।

রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেন, স্পষ্টতই টুইটারের স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্যগুলি, বিশেষ করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলিতে তাঁর সাক্ষাত্কারের ক্লিপগুলি শেয়ার করার শক্তিশালী প্রভাবে টুইটার সংস্থা কেঁপে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, টুইটার যদি আইটি বিধি মানে, তাহলে কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস অস্বীকার করতে পারবে না তারা। সেটা তাদের অ্যাজেন্ডার সঙ্গে খাপ খায় না। আর সেই কারণেই আইটি বিধি মানতে চাইছে না তারা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এর  আগেও তিনি তাঁর নিজের সাক্ষাত্কারের নিউজ ক্লিপ শেয়ার করেছেন, কিন্তু, কোনও টেলিভিশন চ্যানেল বা কোনও অ্যাঙ্কর কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেনি। কাজেই টুইটারের কাজকর্ম এটাই বলছে যে তারা দাবি করলেও বাক স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাসী নয়, শুধুমাত্র তাদের নিজেদের অ্যাজেন্ডা চালাতেই আগ্রহী। তাদের লাইনে না চললে তারা নির্বিচারে যে কাউকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেবে।