সংক্ষিপ্ত

  • দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভিড় বাড়ছে আক্রান্তদের
  • এর মধ্যেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে শারীরিক নিগ্রহ
  • মহিলাদের উপর একের পর এক নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসছে

দেশে রকর্ড গড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে কোভিড কেয়ার সেন্টার গুলিতে মহিলাদের উপর নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসছে। কয়েকদন আগেই করোনার লক্ষণ নিয়ে পাটনার হাসপাতালে ভর্তি এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মুম্বইয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও ঘটেছে এমনি ঘটনা। করোনা আক্রান্ত মহিলার উপর শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা আরেক রোগীর বিরুদ্ধে। এবার রাজধানী দিল্লিতেও ঘটল এমনি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।

করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার দিল্লির কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল এক নাবালিকা। গত ১৫ জুলাই ওই সেন্টারেই ভর্তি আরেক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি তাকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গী হিসাবে আরেক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। দ্বিতীয় ব্যক্তি নিগ্রহের ঘটনাটি ভিডিও করেছিল বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: তিন তিনটি হাসপাতালে জায়গা হল না স্বয়ং করোনা যোদ্ধার, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু এবার ডাক্তারের

কোভিড সেন্টারটির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ইন্ডো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ। তাদের কাছেই এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। নাবালিকা নিজের অভিযোগপত্রে জানায়, গত ১৫ জুলাই কোভিড কেয়ার সেন্টারের শৌচালয়ে ১৯ বছরের এক যুবক তাকে নিগ্রহ করে। সেই সময় ১৯ বছরের আরেক ব্যক্তি ফোনে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করে।

এদিকে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে  করোনা আক্রান্ত মহিলা রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। একবার নয়, একাধিকবার ওই চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: এসে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ইউরোপ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নতুন করে শুরু নিয়মের কড়াকড়ি

আলিগড় জেলার ডিডিইউ হাসপাতালের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযগকারী মহিলা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার বাসিন্দা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে ২৮ বছর বয়সী ওই মহিলাকে আলিগড়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আলিগড়ের ডিডিইউ হাসপাতালের চিকিৎসক।পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নিগৃহীতা যুবতী জানিয়েছেন, রাতে তাঁর ওয়ার্ডে আসে অভিযুক্ত চিকিৎসক। পরীক্ষা করার অজুহাতে যুবতীর গোপনাঙ্গে লাগাতার হাত দিতে থাকে। পরদিন  সকালেও আসে অভিযুক্ত, একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।

যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। হাসপাতালের ওয়ার্ডের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক পিপিই কিট, গ্লভস না পরেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়েছিল। অভিযোগকারী মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।