এশ্বর্য শেহরনের সাফল্যে তোলপাড় নেটদুনিয়া ভারত সুন্দীরের দৌড়ে ছিলেন ঐশ্বর্য শেহরনবর্তমানে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ৯৩তম স্থান দখল করেছেনপেশাদার মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি  

২০১৯ সালের ইউনিয়ন পাব্লিক সার্ভিস পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। তারপর থেকেই অভিনন্দর বার্তায় ভাসছেন ঐশ্বর্য শেহরন। কারণ ভারত সুন্দরীর দৌড়ে থাকা এই প্রতিযোগী দেশের কঠিততম পরীক্ষায় ৯৩ তম স্থানটি দখল করেছেন। শুধু তাঁকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন না মানুষ। ইন্টারনেটে রীতিমত খোঁজ শুরু হয়েছে তাঁর সাফল্যের কাহিনী। 


২০১৬ সালের ফাইনালিস্ট ছিলেন ঐশ্বর্য শেহরন। পাশারাশি তিনি একজন পেশাদার মডেল হিসেবেই রীতিমত পরিচিত। ছোটবেলার তাঁর মা জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে মিলিয়েই তাঁর নাম রেখেছিলেন। মায়ের ইচ্ছে ছিল তিনিও বিশ্বসুন্দরীর খেতাব অর্জন করবেন। 

ভারত সুন্দরীর ময়দানে নামার আগেই তিনি দিল্লির ক্যাম্পাস সুন্দরীর তকমা জয় করেছিলেন। ২০১৫ সালে দিল্লির ফ্রেসফেস উইনারও ছিলেন। আর বর্তমানে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তাঁর এই সাফল্যের জন্য মিস ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। 

Scroll to load tweet…

বরাবরই সিভিল সার্ভিসে আধিকারিক হয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল ঐশ্বর্যর। দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স থেকে থেকে পড়াশুনা করেছেন। তারপরই ফ্যাসান ডিজাইনার ও একাধিক ফ্যাসান ম্যাগাজিনের জন্য তিনি কাজ করেছেন। কাজের প্রয়োজনে দিল্লি থেকে মুম্বাইও যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার। তাইজন্য সবরকম কাজ ছেড়ে তিনি এক থেকে দুবছরের জন্য ফ্যাশান জগৎ থেকে বিরতি নিয়ে পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। আর তাতেই আসে এই সাফল্য। 

ঐশ্বর্যার সাফল্যে উচ্ছসিত দেশের প্রথমসারির আধিকারিকরা। অনেকেই তাঁরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অধিকাংশই বলেছেন সুন্দরীরা বুদ্ধিমান হয় না এটা প্রমাণ করলেন ঐশ্বর্য।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…