সংক্ষিপ্ত
বুধবার ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখানোর পরিকল্পনা করেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
জেএনইউ-এর পর এবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যায়ের চারজন পড়ুয়াকে বিবিসির 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র প্রদর্শনের 'অপরাধে' আটক করা হল। এর আগে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ও এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার একই দৃশ্য দেখা গেল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। বুধবার বিতর্কিত এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে আটক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন পড়ুয়াকে।
বুধবার ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখানোর পরিকল্পনা করেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর আজ সন্ধ্যা ৬ টার সময় এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। কিন্তু তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চারজন পড়ুয়াকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। এসএজআই দিল্লি রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে নৃশংস বলে অভিহিত করে বলা হয়েছে,'নৃশংস উপায়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঠিক আগে চার পড়ুয়াকে আটক করা হল।' সূত্রের খবর ঘটনায় আটক ছাত্র আজিজ এবং সুখদেবকে বিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার চাঁদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
প্রসঙ্গত, গতকালই গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র দেখানোয় বাধা জেএনইউ-এ। এমনকী বন্ধ করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎ পরিষেবাও। এমনকী এই তথ্যচিত্র দেখানোর চেষ্টা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের অফিসে এই তথ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল।
বিবিসির তৈরি 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন'-এর উপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এই ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় গুজরাতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি এই তথ্যচিত্র আজ সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেখানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের অফিসের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
আরও পড়ুন -
বিবিসি-র 'বিতর্কিত'তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দিল না জেএনইউ, বন্ধ করা হল বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও