সংক্ষিপ্ত
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ মামলাটি উঠবে।
বিবিসির 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় সোচ্চার দেশের বিরোধী দলগুলি তথা পড়ুয়ারাও। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের উদ্যোগে দেখানো হচ্ছে এই তথ্যচিত্র। এবার আগামী সোমবারই এই সংক্রান্ত জনসার্থ মামলার শুনানি হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া:দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন'-এর প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী টুইটার, ইউটিউব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় এই তথ্যচিত্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র বিরোধী বলে দাবি করে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। এই মর্মে একের পর এক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। আগামী সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ মামলাটি উঠবে। অ্যাডভোকেট এমএল শর্মা এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিইউ সিং এই বিষয়ে তাদের পৃথক জনস্বার্থ মামলার জরুরী তালিকা চেয়ে আবেদনের বিষয়টি জানাবেন। এছাড়াও প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম, কর্মী-আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দ্বারা আরেকটি আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে মুম্বইয়ের টিআইএসএস-এর ক্যাম্পাসে। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তথ্যচিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং বিজেপির যুব সংগঠন বিজেওয়াইএমের সদস্যেরা। ক্যাম্পাসের ভেতরে বড় স্ক্রিনে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিল পুলিশ। তবে নিজেদের মোবাইল এবং ল্যাপটপেই তথ্যচিত্র দেখেন টিআইএসএস-এর পড়ুয়ারা। ঘটনার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা মুম্বইয়ের বিজেপি নেতা। টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি লিখেছেন,'টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) বিবিসির মিথ্যা তথ্যচিত্র দেখাচ্ছে। এতে মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তা না হলে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। টিআইএসএস-এর এই ব্যবসা বন্ধ করা উচিত।'
আরও পড়ুন -
বাজেটের আগে পেট্রোল-দরে ওঠানামা অব্যাহত? জেনে নিন আজকের লেটেস্ট আপডেট