সংক্ষিপ্ত

ভারতবর্ষে শুধু ওয়াকফ বোর্ডের অস্তিত্বই নয়, বছরের পর বছর ধরে তাদের ক্ষমতা এবং কার্যত মর্জিমাফিক জমি অধিগ্রহণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের শুরুতেই এই সংক্রান্ত নতুন বিল সংসদে পেশ করা হতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে ওয়াকফ আইনের মত ধর্মীয় আইনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। মজার বিষয় হল, মুসলিম প্রধান অনেক দেশেই অস্তিত্ব নেই। তুরস্ক লিবিয়া মিশর সুদান লেবানন সিরিয়া এমনকী ইরাকের মতো মুসলিম দেশগুলোতেও ওয়াকফ বোর্ড বা ওয়াকফ আইন নেই। এবার ওয়াকফ বোর্ডের জমি দখলের অন্তহীন ক্ষমতা রুখতে উদ্যোগী হল মোদী সরকার।

কারণ ভারতবর্ষে শুধু ওয়াকফ বোর্ডের অস্তিত্বই নয়, বছরের পর বছর ধরে তাদের ক্ষমতা এবং কার্যত মর্জিমাফিক জমি অধিগ্রহণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের শুরুতেই এই সংক্রান্ত নতুন বিল সংসদে পেশ করা হতে পারে। যার ফলে ওয়াকফ বোর্ডের দখল করে নেওয়ার অগুনতি সম্পত্তির মালিকদের আবারও জমি ফেরত পাওয়ার একটা আশা দেখা দিয়েছে।

আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ যদি মনে করে কোনও জমি একজন মুসলমানের, সেক্ষেত্রে সেটি ওয়াকফের সম্পত্তি হতেই পারে। এক্ষেত্রে জমি অধিকারের জন্য শুধু ওয়াকফের এই ‘মনে’ করাটাই যথেষ্ট। কোনও তথ্য প্রমাণ বা নথির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু জমির মালিক ওয়াকফকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেতে পারবে না। এই সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিকরণের জন্য বিশেষ ওয়াকফ ট্রাবুইনাল আদালতেই অ্যাপিল করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এইসব মামলার রায় ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষে গিয়েছে। ওয়াকফের দখলে থাকা জমির পরিমাণ হিসেব করলে অর্ধেক পাঞ্জাবেরও বেশি আয়তনের জমি তাদের দখলেই রয়েছে। ২০২৪ সাল অবধি প্রায় ৯ লক্ষ একরেরও বেশি জমি দখলে এসেছে ওয়াকফ বোর্ডের। আর এর পিছনে রয়েছে ১৯৫৪ সালে সংসদে পাস হওয়া ওয়াকফ আইন।

গত শুক্রবারই এই নিয়ে একটি ক্যাবিনেট মিটিং ডাকা হয়েছিল। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে যে নতুন প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী ওয়াকফ বোর্ডের দাবি করা সম্পত্তিগুলির দাবির বৈধতা নিয়ে ভেরিফিকেশন করতেই হবে এবার থেকে। এমনকি অতীতে যে সমস্ত সম্পত্তি গুলি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলিও এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।