সংক্ষিপ্ত

হোয়াটসঅ্যাপ-কড়া চিঠি দিল মোদী সরকার

সরাসরি চিঠি সংস্থার গ্লোবাল সিইও উইল ক্যাথকার্টকে

তথ্য ভাগ করার নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ

প্রতিবাদ জানানো হল ভারতীয় ব্যবহারকারীদের প্রতি বৈষম্যেরও

 

ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) সংস্থার গ্লোবাল সিইও উইল ক্যাথকার্ট (Will Cathcart)-কে কড়া চিঠি দিল মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শুধুমীাত্র ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য মেসেজিং অ্যাপটির গোপনীয়তার নীতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাপটির তথ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।  

কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (MeitY) এক সূত্র জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ-কে কেন্দ্র বলেছে, তাদের নতুন নীতি অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের চ্যাটের মেটাডেটা যদি ফেসবুকের মালিকানাধীন অন্য সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে শেটয়ার করা হয়, তাহলে তা এটি ফেসবুক গ্রুপের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্যের একটি লোভনীয় ভান্ডার তৈরি করবে। যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুরক্ষা ঝুঁকি এবং দুর্বলতা তৈরি করতে পারে,বলে মনে করছে ভারত সরকার।

আরও পড়ুন - প্রাইভেসি রক্ষা করাটা আমাদের মজ্জাগত, ফেসবুকে ডেটা শেয়ার বিতর্কে বিশাল বিজ্ঞাপণ WhatsApp-এর

আরও পড়ুন - এবার অফলাইনে থেকেও WhatsApp-এ চালিয়ে যান চ্যাটিং, জেনে নিন এর কৌশল

আরও পড়ুন - সাবধান, 'WhatsApp'-এর নয়া পলিসি না মানলেই ডিলিট হবে আপনার অ্যাকাউন্ট

একই সঙ্গে সরকার ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্রতি অ্যাপ সংস্থাটির মনোভাবেরও প্রতিবাদ করেছে। ইউরোপের ব্যবহারকারীদের এই প্রস্তাবিত তথ্য শেয়ার-এর নীতি গ্রহণ বা বর্জন করার বিকল্প দেওয়া হচ্ছে। কেউ চাইলে সেই তথ্য ভাগ নাই করতে পারেন। কিন্তু, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে তথ্য ভাগ করাটা অ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্র বলেছে, বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের বৃহত্তম বাজার ভারতবর্ষের ব্যবহারকারীদের প্রতি সম্মানের অভাবই এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে।

কেন্দ্র, হোয়াটসঅ্যাপকে আরও জানিয়েছে, ভারতীয় সংসদ ইতিমধ্যেই একটি ব্যক্তি তথ্য সুরক্ষা বিল আনার কথা বিবেচনা করছে। বিলটি, সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ নির্বাচন কমিটির বিবেচনার অগ্রিম পর্যায়ে রয়েছে। সংসদ তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে 'উদ্দেশ্য সীমাবদ্ধতার' দৃঢ় নীতি নিতে চলেছে। এই অবস্থায় হোয়াটসঅ্য়াপ কেন তাদের তথ্য ভাগের নীতিতে এই বড় পরিবর্তন আনছে, তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে গোপনীয়তা এবং তথ্য সুরক্ষার উদ্বেগের বিষয়ে সরকার সংস্থাকে ১৪টি প্রশ্নের একটি তালিকাও পাঠিয়েছে।