সংক্ষিপ্ত

কৃষক আন্দোলনের বড় জয়

কঠোর অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হল মোদী সরকার

কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি কেন্দ্র

তবে তার আগে কৃষকদের মানতে হবে অমিত শাহ-এর শর্ত

 

কৃষক আন্দোলনের বড় জয়। কঠোর অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হল মোদী সরকার। অবশেষে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হল কেন্দ্র। শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ভারত সরকার। আগামী ৩ ডিসেম্বর তাঁদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। কৃষকদের প্রতিটি সমস্যা ও দাবি নিয়ে সরকার আলোচনা করতে ইচ্ছুক।

সংসদের বাদল অধিবেশনে তিনটি নয়া কৃষি আইন পাস হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত পঞ্জাবে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সংবিধান দিবসে সেই আন্দোলন গুরুতর আকার নেয়। পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে হাজার হাজার কৃষক দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের পুলিশ তাদের নানাভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, অদম্য কৃষকদের আটকানো যায়নি। শুক্রবারই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, অবিলম্বে কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার একদিন পরই এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান থেকে সরে এল কেন্দ্র।   

আরও পড়ুন - প্যাংগং হ্রদে মোতায়েন 'মার্কোস' বাহিনী, সেনা ও বায়ুসেনার পর কেন নৌসেনা এল লাদাখে

আরও পড়ুন - মাটি খুঁড়লেই বের হচ্ছে 'হীরা' - শোরগোল গোটা নাগাল্যান্ডে, সরকার দিল তদন্তের নির্দেশ

আরও পড়ুন - হায়দরাবাদের নাম বদলের ডাক দিলেন যোগী, ফাঁস করলেন 'এআইমিম-এর আসল চেহারা'

 

শুধু তাই নয়, কৃষক ইউনিয়নগুলি চাইলে ৩ ডিসেম্বরের আগেই তাদের উদ্বেগ নিরসনে মোদী সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা বসতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তার আগে তাদের প্রতিবাদকে সরকার নির্ধারিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অমিত শাহ বলেন, 'অনেক জায়গাতেই শীতকালের এই প্রবল ঠান্ডায় হাইওয়ের উপর ট্রাক্টর এবং ট্রলিতে রাত কটাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের কাছে আমি আবেদন করছি, দিল্লি পুলিশ আপনাদের বড় ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। দয়া করে সেখানে যান। সেখানে আপনাদের আন্দোলন করার জন্য অনুমতি দেবে পুলিশ।

এদিন হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তের সিংঘু এলাকায় অবস্থান করছেন কৃষকরা। সীমান্তেই এদিন বিকেলে কৃষক নেতারা একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজধানীতে প্রবেশ না করে আপাতত হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তেই আন্দোলন চালাবেন তাঁরা। প্রতিদিন সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করে পরবর্তী কৌশল স্থির করবেন। এদিন সরকারের এই আহ্বানের পর কৃষক নেতারা কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার।