সংক্ষিপ্ত

সোমবার আবারও প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে
বেলা তিনটে নাগাদ  হবে বৈঠক
লকডাউন নিয়ে আলোচনা হতে পারে
অভিবাসী শ্রমিক প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে

আগামী ১৭ মে শেষ হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন। তার প্রায় একসপ্তাহ আগেই আবার  মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকস করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার বেলা তিনটে নাগাদ এই বৈঠক হবে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়েছে বলেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর। 

গত ২৫ মার্চ প্রথম লকডাইনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর লকডাউন চলাকালীন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চারবার কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। আগামিকালের বৈঠক হবে পাঁচ নম্বর বৈঠক। সূত্রের খবর ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী তাই নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে। 


পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা এই লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দেশের অর্থনীতির। রাজস্ব আদায় প্রায় তলানিতে পৌঁছেছে। আর্থিক পরিস্থিতি শুধরে নিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে অধিকাংশ রাজ্যই লকডাউনের নিয়ম শিথিল পাশাপাশি মদের দোকান খুলেও রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করেছে একাধিক রাজ্য। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন এখনই করোনা সংকট কাটার নয়। করোনাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। করোনা সংকট কাটাতে আগেই কেন্দ্র গোটা দেশকে লাল কমলা আর সবুজ জোনে ভাগ করেছে। একএকটি জোনের জন্য একেক রকম নিয়মও প্রযোজ্য করা হয়েছে। 

সূত্রের খব এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আগামিকাল ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিবাসী শ্রমিক সমস্যা ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলবেন। 

আরও পড়ুনঃ দেশীয় প্রযুক্তিতেই করোনা প্রতিরোধ পথে ভারত, ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ আইসিএমআর-এর ...

আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের, কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি ...

আরও পড়ুনঃ করোনাই কি হবে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু, তেমনই বার্তা ওবামার কণ্ঠে ...

রবিবার ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গুহ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন রাজ্যগুলির মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে একাধিক রাজ্যই বলেছে অভিবাসী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করেছে। তাই কোনও  কোনও জেলা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। অনেক জেলাই করোনা আক্রান্ত জেলা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি স্বাভিবিকের দিকে ফেরাকে আরও অনেকটাই কঠিন করে দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আবার নতুন করে চিহ্নিত করার পরামর্শও দিয়েছে অনেক রাজ্য।