সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার পুরকাজি নগর পঞ্চায়েতের খাদার এলাকায় অবস্থিত ভাদৌলা গ্রামের স্থানীয় একটি বাড়ি থেকেই এক ডজনেরও বেশি কুমিরের ডিম উদ্ধার হয়েছে। অরুণ ত্যাগীর বাড়িতেই বাস করছিল কুমিরটি

প্রায় এক ডজনেরও বেশি কুমিরের ডিম উদ্ধার হয়েছে - যা নিয়ে গোটা গ্রাম জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এই আগে ওই গ্রামে কুমির দেখা গেলেও একসঙ্গে এতদগুলি ডিম দিতে কোনও কুমিরকেই দেখা যায়নি। সেইকারণে গ্রামের মানুষ কিছুটা অবাক হয়ে গেছে। 

শুক্রবার পুরকাজি নগর পঞ্চায়েতের খাদার এলাকায় অবস্থিত ভাদৌলা গ্রামের স্থানীয় একটি বাড়ি থেকেই এক ডজনেরও বেশি কুমিরের ডিম উদ্ধার হয়েছে। অরুণ ত্যাগীর বাড়িতেই বাস করছিল কুমিরটি। সেখানেই কুমিরটি ডিমগুলি প্রসব করে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার মধ্যে বেশ কিছু ডিম ফুটে বাচ্চাও বের হয়ে গিয়েছিল। প্রায় পাঁচটা শাবক কুমির দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। যা নিয়ে রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কিছু ডিম ফুটে বেরিয়ে আসছে কুমিরের বাচ্চা। সেগুলি গ্রামবাসীরা যত্ন করে তুলে রেখেছে একটি ঝুড়ি ব্যাগের মধ্যে। 

এক গ্রামবাসী তার মোবাইলে ভিডিওটি ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে। গ্রামবাসীরা ঘটনাটি বন দফতরকে জানায়। এরপর বন দফতরের কর্মীরা গ্রামে পৌঁছে কুমিরের বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যায়। তথ্যমতে, যে বাড়ি থেকে এসব কুমিরের ডিম পাওয়া গেছে সেটি সোনালী নদী থেকে বয়ে যাওয়া একটি নালার কাছে। এমনকি দুই বছর আগেও এখানে একটি বিশালাকার কুমির বেরিয়েছিল। সে সময় বনবিভাগের দল তাকে অনেক দূরে ফেলে যায়। কিন্তু আজ হঠাৎ করে এত ডিম ছাড়ায় এ সময় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। গ্রামে কুমিরের সন্ধান পাওয়ার ক্ষেত্রে, গ্রামীণ গ্রাম ভাদৌলা গুমেল সিং বাজওয়া বলেছেন যে প্রশাসনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে কারণ এটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। তো চলুন শুনি তিনি কি বললেন।