সংক্ষিপ্ত

ফের গুলি মারার নিদান বিজেপি নেতার।

এবার আঙুল উঠছে দেশের অনুরাগ ঠাকুর-এর দিকে।

সোমবার অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দিল্লিতে চরম উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিলেন।

সভায় ছিলেন গিরিরাজ সিং ও অমিত শাহ-ও।

 

দিন কয়েক আগেই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি সিএএ বিরোধীদের কুকুরের মতো গুলি করে মারার কথা বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এবার প্রায় একই ধরণের কথা শোনা গেল বিজেপি নেতা তথা দেশের অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর-এর রিথালা-র সভায়।  ৮ ই ফেব্রুয়ারির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিল্লিতে এক সমাবেশে তাঁকে দারুণ উস্কানিমূললক বক্তৃতা দিতেও শোনা গেল।

অবশ্য অনুরাগ ঠাকুর নিজে মুখে গুলি করার কথা বলেননি। সরাসরি সিএএ বিরোধীদের কথাও মুখে আনেননি। এদিনে সভায় তাঁকে দেখা যায় মাথার উপরে হাত তুলে হাততালি দিয়ে তিনি চিৎকার করে বলতে শোনা গেল, 'দেশ কে গদ্দারোঁ কো (দেশের বিশ্বাসঘাতকদের)'। তাঁর অপূর্ণ বাক্য শেষ করেন সভায় উপস্থিত বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলেন, 'গোলি মারো সালোঁ কো (তাদের গুলি করে মারো)'।

সেই সময় শুধু অনুরাগ ঠাকুরই নন, মঞ্চে আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহারের বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং-ও উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে বিজেপি কর্মীরা গুলি মারার স্লোগান দিতে কিন্তু-কিন্তু করছিলেন। তবে তাঁদের সেই দ্বিধা মঞ্চ থেকেই কাটিয়ে দেন জুনিয়র অর্থমন্ত্রীই। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পিছন থেকেও আওয়াজ আসতে হবে, যাতে গিরিরাজ তা শুনতে পারেন।

পরে সেই সভায় যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। তিনিও কম উস্কানি দেননি। সিএএ-র বিরোধিতা করে একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহীনবাগে ধরনায় বসেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, শাহীনবাগ-মুক্ত দিল্লি গঠনের জন্য বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।  

মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে কিন্তু রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সামনেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হবে। এমনিতেই অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব এবং গ্রাহক মন্দা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থনীতিকে সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা কেন্দ্রের। তারমধ্যে অর্থদপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্য আগুনে ঘি ঢালার মতো। বিরোধীদের সম্মিলিত মত, এইসব বাজে মন্তব্য না করে মন্ত্রীর বরং দপ্তরের কাজে বেশি মন দেওয়া উচিত।