সংক্ষিপ্ত
মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টের অন্দরেও
মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Justice Sanjeev Bandyopadhyay) বদলি নিয়ে বাড়ছে রহস্য। মেয়াদ ফুরনোর আগেই কেন এই বদলি তা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা ও কলেজিয়ামের অন্য সদস্যদের সেই প্রশ্ন করলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের আইনজীবীরা।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের(Madras High Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Justice Sanjeev Bandyopadhyay) বদলি নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে চাপানউতর। সম্প্রতি দেশের এই নামজাদা বিচারপতিকে মেঘালয় হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও কেন আচমকা এই বদলি তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছিল। মাত্র ১০ মাস আগে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়াদ ফুরনোর আগেই কেন এই বদলি তা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা(n v ramana) ও কলেজিয়ামের অন্য সদস্যদের সেই প্রশ্ন করলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের আইনজীবীরা। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে দিল্লির অন্দরে।
আরও পড়ুন - নেশা করার প্রতিবাদ করায় গৃহবধুকে মারধর, আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়য় তুলেছিলেন এই বরিষ্ঠ আইনজীবী। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এক পর্যবেক্ষণে স্পষ্টতই বলেছিলেন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়-বাড়ন্তের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে সেই সময় বিস্তর জলঘোলাও হয়। এমনকী এই জন্য কমিশন কর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত বলেও তাঁর পর্যবেক্ষণে তিনি জানিয়েছিলেন। তাঁর রায়ের ফলেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিট-এর সর্বভারতীয় কোটায় ওবিসি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এই রায়ের পরেই একাধিক প্রভাবশালীর বিরাগভাজন হন তিনি। আর সেই কারণেই তাঁর এই আচমকা বদলি কিনা সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন - কতটা ক্ষমতা বাড়ছে বিএসএফ-র, কী বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব
অন্যদিকে মাদ্রাজ হাই কোর্টের ২৩৭ জন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ কলেজিয়ামের সদস্যদের এই বিষয়ে কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর সেখানেই প্রশ্ন তুলে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন একজন যোগ্য ও নির্ভীক বিচারপতিকে বদলি করে দেওয়া হল সেই কারণ তাদের জানাতে হবে। আদালতের বারের সদস্য বা আইনজীবীদেরও তা জানার অধিকার রয়েছে বলেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের তা মনে করিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
আরও পড়ুন - করোনার ছোবল, মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত রায়গঞ্জ পৌরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস
এদিকে ১০ মাস আগে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেও সু্প্রিম কোর্টের কলেজিয়াম গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁর বদলির সুপারিশ করেছিল। এদিকে চলতি মাসের ২ তারিখ ৬০ বছর পূর্ণ করা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির মেয়াদ আর দুই বছর বাকি আছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে শুধু করোনা নয় কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করে সাম্প্রতিককালে একাধিক রায় দিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিতে সংবাদমাধ্যমের পোর্টালে নজরদারির চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এমনকী এতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অনেকেরই ধারণা একের পর এক কেন্দ্র বিরোধী রায়েই মোদী সরকারে বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি।