সংক্ষিপ্ত

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সঠিক জায়গায় রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার লক্ষ্যে বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামী ১৫ই নভেম্বর বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, লেফটেন্যান্ট গভর্নর, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অর্থমন্ত্রীদের সাথে একটি বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। 

কোভিড মহামারীর পরে দেশের অর্থনৈতিক দিশা পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়ে কেন্দ্র সরকার। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি(economic recovery) সঠিক জায়গায় রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার লক্ষ্যে বিশেষ বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। আগামী ১৫ই নভেম্বর বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, লেফটেন্যান্ট গভর্নর, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অর্থমন্ত্রীদের (CMs, FMs of states) সাথে একটি বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। 

১৫ই নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার বিকেল ৩টে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে, অর্থ সচিব টি ভি সোমনাথন বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির গতি হ্রাস হয়েছিল। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের পর অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অঙ্কুরোদগম স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। 

কেন্দ্রের দাবি বেশ কিছু অর্থনৈতিক সূচক এখন প্রাক-মহামারী পর্যায়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বিশ্বব্যাংকের অনুমান ভারতের জিডিপির বৃদ্ধি যথাক্রমে প্রায় ৯.৫ শতাংশ এবং ৮.৩ শতাংশ থাকবে। সোমনাথন আরও জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীদের মনোভাব পজেটিভ হলেও, এখনও তার প্রতিফলন শুরু হয়নি সেভাবে। চলতি অর্থবর্ষ ২০২১-এর প্রথম চার মাসে ইতিমধ্যেই ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (FDI) দেশে এসেছে। 

সোমনাথন আরও বলেন, বৈঠকের উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। "ভারত বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হয়ে উঠছে। এই ইতিবাচক পয়েন্টগুলিকে পুঁজি করা উচিত এবং সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। ভারতের বৃদ্ধির স্তরকে আরও উঁচুতে ওঠাতে হবে। এই কাজে রাজ্যগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী রাজ্য স্তরের ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করবেন। 

Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

Terrorists Killed- সাফল্যের তালিকা, চলতি বছরে সেনা-সিআরপিএফের হাতে খতম ১৩৮ জঙ্গি

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের অভিঘাতে সেভাবে বিপর্যস্ত হয়নি দেশের অর্থনীতি, বরং তা সামলে নিয়ে বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে, যা সুখবর নিঃসন্দেহে। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে এই সময়ের ত্রৈমাসিকে জিডিপিতে বড়সড় পতন লক্ষ্য করা গিয়েছিল। লকডাউনের প্রভাবে ২৪.৪ শতাংশ সংকোচন ছিলেন জিডিপির বৃদ্ধিতে। 

বন্ধন ব্যাঙ্কের রিসার্চ হেড ও প্রধান অর্থনীতিবিদ সিদ্ধার্থ সান্যাল বলছেন ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছিল। ফলে এপ্রিল থেকে জুনের এই বৃদ্ধি প্রত্যাশিত কিছুটা। গত বছরের সংকোচনকে এড়িয়ে যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছে, তা আশার আলো দেখাচ্ছে। গত বছরের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের পর থেকে, পেন্ট-আপ চাহিদার প্রেক্ষিতে ভারতের অর্থনীতি গতি পায়। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রেক্ষিতে সেই গতি কিছুটা চাপা পড়ে। পরে তা ফের গতি বৃদ্ধি করে।