সংক্ষিপ্ত
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন
শহিদ হলেন ৩৪ বছরের জওয়ান নায়েক নিশান্ত শর্মা
স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা শহিদের স্ত্রী
শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা য়োদী আদিত্যনাথের
প্রজাতন্ত্র দিবসের জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরী সেক্টরে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বলি হলেন ভারতীয় সেনার বীর জওয়ান নায়েক নিশান্ত শর্মা। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের এই বাসিন্দা গত ১৮ জানুয়ারি সীমান্ত প্রহড়ার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের অবিরাম গুলিবর্ষণে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে তাঁর জীবনের লড়াই সাঙ্গ হয়। এই বীর শহিদের আত্মবলিদানকে সেলাম জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ড (Northern Command) ও তার কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওয়াই কে যোশী (Lt Gen YK Joshi)।
৩৪ বছরের নায়েক নিশান্ত শর্মা ছিলেন ৬১ রাষ্ট্রীয় রাইফেল রেজিমেন্ট (জাট রেজিমেন্ট)-এর জওয়ান। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে টহল দেওয়ার সময় পাকিস্তানের চালানো গুলি ও বোমা হামলায় নায়েক নিশান্ত গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিশান্তের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল তার পরিবার। রবিবার, কিন্তু সে বাঁচানো তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই শেকে ভেঙে পড়েন তাঁরা। আড়াই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল নিশান্ত শর্মার। স্বামীর মৃত্যুর ধাক্কায় তাঁর স্ত্রী সোনম হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে বন্ধ ঘর থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শহিদ নিশান্তের বাবা যোগেন্দ্র শর্মা একটি চিনি কলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর ছোট ভাই শুভমও ভারতীয় সেনার এক সদস্য। বর্তমানে তিনি মীরাটে নিযুক্ত আছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শহিদ জওান নিশান্ত শর্মার পরিবারের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ও তাঁর পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দেশের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহিদ হওয়া সৈনিক নিশান্ত শর্মার বীরত্বকে অভিবাদন জানিয়েছেন যোগী। সেই সঙ্গে শহিদের নামে সাহারানপুর জেলার একটি সড়কের নামকরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকবে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার। সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেওয়া হবে তাদের।