সংক্ষিপ্ত

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার অঞ্চলের স্থানীয় এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন করল মাওবাদীরা। তাদের দাবি, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও কথা শুনছিলেন না ওই নেতা। 

ছত্তীসগঢ়ে ফের আরেক বিজেপি নেতার ওপর মাওবাদী হামলা। এ বার সরাসরি স্থানীয় ওই নেতার বাড়ির ভেতর ঢুকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই গুলি করে খুন করল মাওবাদীরা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লৌহ-আকরিক শিল্প নিয়ে প্রচার করছিলেন ওই নেতা। সেই কারণেই তার এই ‘হাল’ করা হল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নেতার নাম সাগর সাহু, তিনি ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ সাগর সাহুর বাড়িতে আচমকাই ঢুকে পড়ে দু’জন ব্যক্তি। তারা নিজেরাই জানায় যে, তারা ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’-এর সদস্য। এর পর বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যদের সামনেই সরাসরি তাঁর মাথায় গুলি করে ওই দুই আততায়ী। সঙ্গে সঙ্গে আহত নেতাকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু, অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের পরিবার জানায়, একটি মোটরবাইকে চড়ে ২ জন আততায়ী এসেছিল। গুলি করে দিয়ে সেটাতে চড়েই তৎক্ষণাৎ চম্পট দেয় তারা। পুলিশের তরফে নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার পুষ্কর শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সাগর সাহুর বাড়িতে মোটর বাইকে চেপে দু’জন এসেছিলেন। ওই বিজেপি নেতাকে গুলি করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও সাগরকে প্রাণ বাঁচানো যায়নি। এ ছাড়া আর কোনও তথ্য মেলেনি।”

বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক, সুন্দরজ জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি মাওবাদীদের একটি ছোট দলের কাজ বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আমরা সব দিক থেকে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছি। নিহতের বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চলছে।”

অন্য দিকে, মৃতের পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার গুলি চালানোর ঘটনার আগে একাধিক বার মাওবাদীদের হুমকি পেয়েছিলেন সাগর সাহু। লৌহ-আকরিক প্ল্যান্ট তৈরি নিয়ে তাঁর সমর্থনই মাওবাদীদের রাগিয়ে দিয়েছিল।

এর আগে জানুয়ারি মাসে ছত্তীসগঢ়ে দু’জন বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়। মাওবাদীদের পক্ষ থেকে বস্তারের বিজাপুর এলাকার আওয়াপল্লীর ৪০ বছর বয়সি বিজেপি প্রেসিডেন্টকে বিয়ে বাড়ি থেকে টেনে বের করে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর, উসুর এলাকার প্রাক্তন সরপঞ্চ আরেক বিজেপি নেতাকে খুন করেন কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। ফলে, ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্তে রীতিমত প্রাণসংশয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন-

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের উদ্ধারকাজে সাহায্য করলে ভারতের কূটনৈতিক লাভ কী? জেনে নিন বিস্তারিত
সংস্থায় কর্মরত সমস্ত ভারতীয় কর্মীকে ছাঁটাই করে দিচ্ছে টিকটক, ভারতে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার বদলা নিতেই এই সিদ্ধান্ত?
মার্ভেলের ‘ওয়েস্টল্যান্ডার্স’ কাস্টিং ঘোষণার মঞ্চে তাক লাগালেন করিনা কাপুর আর সইফ আলি খান, ছবিতে দেখুন তারকাদের মহাসমারোহ