সংক্ষিপ্ত
- অতীতের পুনরাবৃত্তি শোনা গেল মঙ্গলবারের ভাষণে
- করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ান
- লকডাউনে এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- ইমিউনিটি বাড়াতে আয়ুষ মন্ত্রকের পরামর্শ মানতে বলেন
অতীতের পুনরাবৃত্তি শোনা গেল মঙ্গলবারের ভাষণে। করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে দেশবাসীকে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা রুখতে লকডাউনে দেশবাসীর কাছে তুলে দিলেন 'সপ্তপদী' বান।
করোনা যুদ্ধে অস্ত্র হোক গামছা, দেশবাসীকে পাঠ পড়ালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী.
মোদীর দেওয়া সেই পরামর্শে সবার প্রথমে রয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের খেয়াল রাখার বিষয়। পাশাপাশি লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব অবশ্য কর্তব্য় বলে মন্তব্য় করেছেন মোদী। এছাড়া ও ঘরে বানানো মাস্ক পরার সঙ্গে সঙ্গে গরম জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনো নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরোগ্য সেতু অ্যাপ এনেছে ভারত সরকার। নিজের মোবাইলে সেই অ্যাপ সকল দেশবাসীকে ডাউনলোড করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি গরিব পরিবারগুলির খেয়াল রাখার কথা বলেছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কারও যেন চাকরি না যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। এই পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান জানাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা যুদ্ধে নতুন গাইডলাইন আনছে কেন্দ্র, মারণ ভাইরাসকে হারাতে দেশবাসীকে ৭টি বান দিলেন মোদী..
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহ দেশে করোনা সংক্রমণের জন্য খুবই গুপুত্বপূর্ণ। তাই শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুষ মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে চলুন। কী রয়েছে আয়ুষ মন্ত্রকের গাইডলাইনে। মন্ত্রক বলছে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে ঘরোয়া ভেষজ উপাদানেই রয়েছে 'সংক্রমণ' রোখার রসদ। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আদা, জিরে, ধনে, মধু, হলুদ, রসুন ইত্যাদি সহজলভ্য ভেষজ উপাদানেই মিলবে সমাধান।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলায় ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর, সুস্থ থাকুন, লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী.
আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, ঘরোয়া ভেষজ উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে নিয়ম মেনে চলতে পারলে শুধু করোনা নয়, যে কোনও রকমের সংক্রমণের থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে। সুস্থ থাকতে পারবে আপনি ও আপনার পরিবার। তবে এই নিয়মগুলি কোনও ভাবেই করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় সাহায্য করবে না। এগুলি শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখতে, যে কোনও রকমের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে। কী রয়েছে আয়ুষ মন্ত্রকের এই টোটকায়...
১) ভাইরাস যেহেতু নাক, মুখ দিয়েই শরীরে ঢুকে গলার মধ্যে দিয়ে আমাদের ফুসফুসে সংক্রমিত হয়, তাই প্রতিদিন গরম জলের ভাপ বা ভেপার নেওয়া দরকার।
২) আমিষ বা নিরামিষ যাই খান না কেন, রান্নায় জিরে, হলুদ, রসুন আর ধনের গুঁড়ো বা ধনেপাতার মতো উপাদান বেশি করে ব্যবহার করুন। এই উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩) সেই সঙ্গে দিনে দু থেকে তিন বার মধু- লবঙ্গ দেওয়া চা খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন।
৪) প্রতিদিন স্নানের আগে কানে ও নাকে নারকেলের তেল বা খাঁটি ঘি ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক।
৫) সারাদিনে যতবার খুশি গরম জল পানের কথাও বলেছে আয়ুষ মন্ত্রক।
৬) সেই সঙ্গে দুধ চায়ের বদলে আদা, পুদিনা, মধু দিয়ে ভেষজ চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।
৭) তুলসী, দারচিনি, গোল মরিচ,শুকনো আদার কাথ করে খেতে বলেছে মন্ত্রক।
৮) এছাড়াও রয়েছে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার নিদান।
৯)দিনে একবার এক চা চামচ নারকেল তেল নিয়ে মুখে ২-৩মিনিট কুলকুচি করতে বলা হয়েছে। পরে গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে বলেছে আয়ুষ মন্ত্রকের গাইডলাইন।