সংক্ষিপ্ত
মুঘল গার্ডেনের নাম বদল, ত্রিপুরা বিধানসভা জন্য ৫৪ জনের প্রার্থী কতালিকা প্রকাশ বিজেপির। সুখোই -মিরাজের সংঘর্ষ।
1. শনিবার বিজেপি দুটি দফায় ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৫৪ জনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। বিজেপি জোটসঙ্গী উপজাতি সংগঠন ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা বা আইপিএফটির জন্য ৫ টি আসনে ছেড়ে রেখেছে। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন অনিল বালুনি ও সম্বিত পাত্র। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। একটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে পরে।
2. রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা প্রার্থী প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছেন টাউন বার্দোয়ালি কেন্দ্রের। তবে এই তালিকায় বিপ্লপ দেবের নাম নেই। দলীয় সূত্রের খবর এই নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হবে না। দলের সংগঠনের কাজেই তাঁকে ব্যাবহার করা হবে। প্রথম প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বড় চমক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। গেরুয়া শিবির তাঁকে ধানপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে।
3.বদলে গেল রাষ্ট্রপতি ভবনে মুঘল গার্ডেনের নাম। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছেন এবার মুঘল গার্ডেনের নতুন নাম অমৃত উদ্যান। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গোটা দেশেই চলছে অমৃত মহোৎসহ। সেই থিমে সঙ্গে মিলিয়ে মুঘল গার্ডেনের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিভবন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব হিসেবে স্বাধীনতার ৭৫ক বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন উদ্যানগুলির একটি সাধারণ নামকরণ করেছে। সেই নামই হল অমৃত উদ্যান।'
4.আগামিকাল অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অমৃত উদ্যান-এর উদ্বোধন করবেন। ৩১ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৬ মার্চ - টানা দুই মাস এই বাগান দেশের সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই বাগানে প্রচুর ফুল ফোটে হলেও রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর।
5.সপ্তাহের শেষ দিনেই দুঃখজনক ঘটনা। মহড়ার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধ বিমানের। মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় ভেঙে পড়ে একটি সুখোই ও একটি মিরাজ-২০০০। এই দুর্ঘটনায় এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, সুখোই-৩০০ এমকেআই বিমানের দুই পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু মিরাজ-২০০০ যুদ্ধ বিমানের পাইলট ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
6.২০২৪-এর নির্বাচনের জন্য ঘুটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস। গোয়ায় শুরু হল রাহুল গান্ধীর চিঠি বিলি। চিঠিতে লেখা ২০২৪-এ ক্ষমতায় এলে ৫০০ টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার দেবে কংগ্রস সরকার। পানাজি জুড়ে এমনই চিঠি বিলি করল কংগ্রেস কর্মীরা। গোয়ার পানাজিতে ইতিমধ্যেই 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র অধীনে 'হাত সে হাত জোড়ো' কর্মসূচী শুরু করেছে কংগ্রেস। আগামী দু'মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচী, যা উপকূলীয় রাজ্যগুলির মোট ৪০টি নির্বাচনী এলাকায় সম্পন্ন হবে। কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন তারা গোয়ার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে রাহুল গান্ধীর বার্তা পৌঁছে দেবেন। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে সমস্ত মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়বেন তাঁরা।
7.বিবিসির 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন', ঘিরে উত্তপ্ত গোটা দেশ। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে দেশের একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে পড়ুয়ারা। দিল্লি, জেএনইউ, জামিয়ামিলিয়া, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির পর এবার সেই পথেই পা বাড়াল মুম্বইয়ের ‘টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস’ (টিআইএসএস)। শনিবারই এই তথ্যচিত্র দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিআইএসএস-এর পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন' নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারেও বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ইউটিউব ও টুইটারেও এই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় লিঙ্ক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই মনোভাবকে মোদী সরকারের 'অসহিষ্ণুতা' বলেও উল্লেখ করেছেন অনেকে। এবার এই তথ্যচিত্র গোটা রাজ্যে দেখানোর ব্যবস্থা করছে সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
8.সোনম ওয়াংচুককে গৃহবন্দি করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে তেমনই দাবি করেছেন লাদাখের সমাজকর্মী। লাদাখের পরিবেশের জন্যই তিনি অনশন শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই অনশনের মাঝেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। যদিও সোনম ওয়াংচুকের কথায় গৃহবন্দির থেকেও খারাপ অবস্থায় পরিস্থিতি তাঁর। তাঁর আরও অভিযোগ, লাদাখের পরিবেশের পাশাপাশি স্থানীয়দের সমস্যা ও পূর্ণ রাজ্য বিসেবে স্বয়ত্বশাসনের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাতেই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
9.রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা বর্তমানে পৌঁছে গেছে দেশের উত্তর সীমান্ত জম্মু ও কাশ্মীরে। যাত্রাশুরু হয়েছিল কন্যাকুমারি থেকে। আর মাত্র দুই দিন পরে ১৪৫ দিনের মাথায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর প্রথম পর্বের যাত্রা শেষ হবে। কিন্তু এই যাত্রাপথ মোটেও মসৃণ ছিল না। অনেক চ়ড়়াই উতরাই পার হতে হয়েছে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে। আসুন এক নজরে দেখেনি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার কয়েকতি বিতর্ক আর সমস্যা
10. ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি জাতির জনক গান্ধীজিকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যকারী নাথুরাম গডসে। তাকে এক বছর পরে ফাঁসিতে ঝোলান হয়েছিল। রবিরাব গান্ধীজি স্মরণ করা হবে দেশজুড়ে।