সংক্ষিপ্ত
- দ্বন্দ্ব লেগে গেল পাওয়ার সংসারে
- বিজেপিকে সমর্থন করা নিয়ে কাকা-ভাইপো সংঘাত
- বিজেপিকে অজিত পাওয়ারের সমর্থন মেনে নেবে না এনসিপি
- টুইট করে জানিয়ে দিলেন শরদ পাওয়ার
দ্বন্দ্ব লেগে গেল পাওয়ার সংসারে। বিজেপিকে সমর্থন করা নিয়ে কাকা-ভাইপো সংঘাত। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে বিজেপিকে অজিত পাওয়ারের সমর্থন মেনে নেবে না এনসিপি। প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন শরদ। টুইট করে শরদ বলেছেন, এটা অজিতের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত দল মেনে নেবে না। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এনসিপি ভাঙিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পরিকল্পনা করল বিজেপি।
শনিবার সকালে এক মাস রাষ্ট্রপতি শাসন চলার পর অবশেষে কাটল জট। মহারাষ্ট্রের দায়িত্বে ফিরে এলেন সেই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এক রাতের নাটকীয় পরিবর্তন দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিতের উত্থান অবাক করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই দুজনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহারাষ্ট্রের স্থায়ী সরকার রাজ্য়ের উন্নয়নে ভালো কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদী।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে শুক্রবারই সংকট মোচনের শেষ ধাপ ছিল। যেখানে এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনা একসঙ্গে বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত হয়, সবার অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু রাত গড়াতেই এই পরিবর্তন দেখে অবাক হয়ে গেছে মহারাষ্ট্রবাসী। ইতিমধ্যেই শপথ গ্রহণ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি বলেন, খিচুরি সরকার চায়নি মহারাষ্ট্রের মানুষ। রাজ্যের মানুষের জনাদেশকে উপেক্ষা করে বিকল্প সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিবসেনা। যেখানে বিজেপি-শিবসেনা জোটকে দেখেই সর্বাধিক ভোট দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের মানুষ। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের মতো উন্নত রাজ্যের পক্ষে এতদিন রাষ্ট্রপতি শাসন থাকাটা উচিত নয়। এতে রাজ্যবাসীরই ক্ষতি হবে। সেক্ষেত্রে এনসিপি সরকার গঠনে এগিয়ে আসায় আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে অজিত পাওয়ার বলেন, মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই কোনও দল সরকার গঠন করতে পারেনি। বিভিন্ন প্রসঙ্গে মতান্তর শুরু হয়েছিল দলের মধ্যে। সেকারণে রাজ্যে একটা স্থায়ী সরকার গঠন করা হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার তিন দিনের দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিযারির। কিন্তু রাতারাতি সেই সফর বাতিল করেন তিনি। এদিন সকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। আটটায় শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও অজিত পাওয়ার।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১০৫টি আসন পায় বিজেপি। শিবসেনার দখলে আসে ৫৬টি আসন। পাশাপাশি এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন জেতে। প্রথমে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, বিজেপি-শিবসেনা ফের মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে। কিন্তু একাধিক দাবি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত লেগে যায় শিবসেনার। পরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। রাজ্যে বিজেপি জানিয়ে দেয়, তাঁদের কাছে ম্যাজিক ফিগার নেই, সেকারণে মহারাষ্ট্রে রাজ্যপাল ডাকা সত্ত্বেও সরকার গড়তে পারছেন না তাঁরা। রাজ্যে শুরু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। এরপর থেকেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে একের পর এক বৈঠক করে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস । গতকালই তিন দলের বৈঠকে স্থির হয়, উদ্ভব ঠাকরেকে মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসিয়ে সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু রাত গড়াতেই ধরা পড়ল অন্য সমীকরণ।