সংক্ষিপ্ত
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ সুব্রাহ্মন্যম স্বামী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে সাউথ অ্যাভেনিউ-এর বাড়িতে আসেন। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে তাঁদের কথা হয়।
এবার কী বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দেবেন রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swami)? বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার পর এই প্রশ্নই ঘুরছে রাজধানীর রাজনীতিক মহলে। মঙ্গলবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যের হাত ধরে তৃণমূলে এসেছেন কীর্তি আজাদ, পবন খেরা, অশোক তনওয়ারের মত জাতীয় স্তরের নেতারা। তারপর বুধবার সুব্রাহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ তাই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ সুব্রাহ্মন্যম স্বামী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে সাউথ অ্যাভেনিউ-এর বাড়িতে আসেন। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে তাঁদের কথা হয়। কিন্তু কী নিয়ে কথা হয়েছে তা নিয়ে কেউই মুখ খুলেননি। তবে রাজ্যসভার সাংসদ স্বামী জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবরই রয়েছে। প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এদিনই বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক রয়েছে। তাই তার আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রবল সমালোচক হিসেবেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত। মোদীর অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব স্বামী। গত অগাস্টেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে স্বামী লিখেছিলেন মোদী ভারতের রাজা নন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কাজকর্ম নিয়েও একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বামী। স্বামীর এই প্রতিবাদ মাঝে মাঝেই বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের আলাপ রয়েছে স্বামী। সম্প্রতি স্বামী ৮০ বছরের জন্মদিনেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মমতা।
Murder: প্রেমের প্রস্তাবে 'না', এক কোপে ধড় ও মুণ্ড আলাদা করে দিল 'খুনি' প্রেমিক
Parliament: ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ ২৬টি বিল পেশ হবে সংসদে, থাকছে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল
নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি স্বামীর। বিজেপির ৮০ সদস্যের কার্যসমিতির বৈঠেক থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিজেপি থেকে থাকলেও তেমন গুরুত্ব নেই। সেই কারণে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই সরব হন তিনি। কিন্তু সংঘ ঘনিষ্ঠতার কারণে স্বামীকে একেবারে ছেঁটেও ফেলা যায়নি। তাই মমতার হাত ধরেই কি স্বামী দল বদল করতে চান? সেই প্রশ্নই উঠছে বিজেপির অন্দরে।