সংক্ষিপ্ত
চলতি বছরের জুলাই মাসে বিহার প্রশাসনকে নেপাল সাফ জানায়, রাস্তা চওড়া করার কাজ বিহার সরকার করতে পারবে না। এরপর থেকেই শুরু দ্বন্দ্ব
ভারত ও নেপালের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত বিরোধ শুরু হয়েছে। বিহারের সীতামারহিতে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল সরকার। ভারত নেপাল সীমান্তের কাছে নির্মিত এই রাস্তাটি আরও চওড়া করার বিষয়ে নেপাল সরকার আপত্তি জানিয়েছে। এই রাস্তাটি নেপাল সীমান্তের ভিথামোড এবং নেপালের জনকপুরের সাথে সীতামারির অনেক এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। এ সড়কে একটি সেতুও নির্মাণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কিছু দিন আগে, ভারত-নেপাল সীমান্তের প্রায় ১.১০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করার বিষয়ে নেপাল সরকার আপত্তি জানিয়েছিল। এরপর এই সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে ১৩৫ কিলোমিটার উত্তরে সীতামারহি জেলার সুরসান্দ ব্লকের সীমান্তের কাছে এই রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে বিষয়টি সমাধানের জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই রাস্তাটি তৈরি করছে রাজ্য সড়ক নির্মাণ বিভাগ (RCD)।
নেপালের সাথে সীতামারির সংযোগকারী রাস্তা
রাজ্য সড়ক নির্মাণ বিভাগের এক আধিকারিক দাবি করেছেন যে সমীক্ষা রেকর্ড অনুসারে এলাকাটি আঞ্চলিক কমান্ডের অধীনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সড়ক নির্মাণ কাজ থমকে গেছে। এখান থেকে যাতায়াত করতে মানুষের অনেক কষ্ট হয়। এই রাস্তাটি সরাসরি নেপাল সীমান্তের ভিথামোর এবং নেপালের জনকপুরের সাথে সীতামারহির অনেক এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করতে হবে। সেতুটি নির্মাণের কাজ মাত্র শুরু হয়েছিল, এরই মধ্যে নেপাল সরকার এটি নিষিদ্ধ করেছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে বিহার প্রশাসনকে নেপাল সাফ জানায়, রাস্তা চওড়া করার কাজ বিহার সরকার করতে পারবে না। এরপর থেকেই শুরু দ্বন্দ্ব। উল্লেখ্য, এর আগে বহু বছর ধরেই এই এলাকায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ করেছে বিহার সরকার। সেই সময় নেপালের তরফে এমন কোনও বাধা আসেনি। এইবারই প্রথম নেপালের ক্ষমতায় ওলি সরকার থাকাকালীন নেপাল এমন আচরণ করল।যার জেরে বিহার সরকার কেন্দ্রকে সমস্ত তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে পূর্ব চম্পারণ জেলার কাছাকাছি জায়গায় লালবকেয়া নদীতে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিল বিহার সরকার। সেই বাঁধ ঘিরেও বাধা প্রদান শুরু করে নেপাল। শেষে বাঁধ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় নেপাল সরকার। উত্তরাখন্ডের তিনটি এলাকা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে হালে পানি না পেয়ে,এবার বিহার সীমান্তে চিনের মতো করেই 'বিস্তারবাদ' দেখাচ্ছে নেপাল। বিহারের রাস্তা সারাইয়ের কাজে এবার নেপাল নাক গলাতে শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- Dharchula Bridge: ভারত-নেপাল সম্পর্কের উন্নতির আরও একধাপ, তৈরি হবে ধরচুলা ব্রিজ
আরও পড়ুন- ভিতরটা অবিকল হোটেলের ডিলাক্স রুম, নেপাল ভ্রমণে বিশেষ চার্টার্ড বগির ব্যবস্থা ভারতীয় রেলের